সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

বাত শব্দটি আমাদের সমাজে বহুল আলোচিত শব্দ। শরীরে ব্যথা বিশেষ করে যে কোনো গিরা-জয়েন্টে ব্যথা হলেই তাকে আমরা বাত বলে থাকি। এছাড়া ঘাড়-কোমরে ব্যথা এবং এ ব্যথা হাত বা পায়ে ছড়িয়ে গেলেও তার নাম হয়ে যায় বাত।

কিন্তু সব ব্যথাই কি বাত? চিকিৎসাবিজ্ঞানের আথ্রাইটিস শব্দটিকে বাতের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সব আথ্রাইটিসের চরিত্র এক নয়। রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস বা গেটে বাত এবং অস্টিও আথ্রাটিস বা হাড়ের বাতই আথ্রাইটিসের প্রধান প্রকারভেদ। এর মধ্যে অস্টিও আথ্রাইটিসে ভোগা রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ক্রমবর্ধমান কাজের চাপ, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করা, শারীরিক পরিশ্রম না করা এবং সর্বোপরি বংশগত কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে।

এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- কোনো রোগী যদি এই রোগে একবার আক্রান্ত হয়েই যায় তবে তার ক্ষতিগ্রস্ত হাড় বা জয়েন্টটি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাই রোগীর হাড় বা জয়েন্টটি সম্পূর্ণরূপে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না। কিন্তু জয়েন্ট এবং হাড়ের চারপাশের মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল ও পুস্টি বাড়িয়ে কর্মক্ষম রাখা যায়। তাই এসব ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার চেয়ে  লোকাল চিকিৎসা যাকে আমরা শারীরিক চিকিৎসা বলি  সেটিই বেশি কার্যকর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেখানে ক্ষয়জনিত ক্ষতের পরিমাণ সামান্য সেখানে প্রদাহ বিরোধী ব্যথার ওষুধ কিছুটা কাজ করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থাৎ যেখানে ক্ষতের পরিমাণ বেশি সেখানে ব্যথার ওষুধ  তেমন কোন ভূমিকাই রাখে না। এখানে ফিজিওথেরাপির বিকল্প নেই। তদুপরি যারা সামান্য ক্ষয়ের কারণে ব্যথায় ভোগেন তাদের জন্য প্রিভেন্টিভ ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন যাতে রোগীর ক্ষয়জনিত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে না পারে।

কোন কোন ব্যথায় ফিজিওথেরাপি কার্যকর

(১) ঘাড় ব্যথা, মাথা ব্যথা ও হাত ঝিঁঝিঁ ধরা বা অবশ মনে হওয়া। (২) কাঁধের ব্যথা বা ফ্রোজেন সোল্ডার। (৩) হাঁটু ব্যথা। (৪) কোমর ব্যথা, সায়াটিকা, পা ঝিঁঝিঁ ধরা বা পায়ে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া (৫) গোড়ালি ব্যথা। (৬) কুনুই ব্যথা বা টেনিস এলবো।

ডা. মোহাম্মদ আলী

পরিচালক ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, এইচপিআরসি।

ফোন : ০১৮৭২৫৫৫৪৪৪।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর