কবজির ব্যথা নিয়ে অনেককেই চিকিৎসকের কাছে আসতে দেখা যায়। এ সময় বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশ দিয়ে ওপরের দিকে এই ব্যথা হয়। রাতে হাত অবশ হয়ে আসে। ঘুম ভেঙে যায়।
রোগ নির্ণয় : সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি এ রোগটি নির্ণয় করতে পারেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কবজির এক্সরে ও কিছু রক্তের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা : এ ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশনও প্রয়োজন পড়ে।সতর্কতা : এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। হাতের কবজির ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, যেমন-* হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠানো যাবে না।
* কাপড়-চোপড় চিপড়ানো যাবে না। * টিউবওয়েল চাপা যাবে না।
* একটানা বেশিক্ষণ লেখালেখি না করা। * দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি না করা। * ড্রিল মেশিন ব্যবহার না করা। * কাজ করার সময় বিশেষ ব্যান্ড ব্যবহার।
ডা. এম. ইয়াছিন আলী
চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।