শিরোনাম
শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সর্বদা থাকুন হাসি খুশি

সর্বদা থাকুন হাসি খুশি

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আসুন বিষণ্নতা নিয়ে কথা বলি।’। বিষণ্নতা একটি অসুখ। যখন কারো মন বেশিরভাগ সময় খারাপ থাকে তাই আনন্দময় কাজও বিস্বাদ লাগে এবং এজন্য টানা দুই সপ্তাহের বেশি দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়া উদ্যম কমে যায়, খিধে পায় না, খুব বেশি বা একদম কম ঘুমায়, মনোসংযোগ কমে যায়, অস্থির লাগে, দৈন্যতা লাগে- এমনকি নিজের ক্ষতি করতে বা আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে। বিষন্নতা চিকিৎসাযোগ্য। আপনার মনোচিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হলেই পরিত্রাণ মিলবে।

বিষন্ন হলে কি করবেন : কথা বলুন! প্রাণ খুলে- আপনার বিশ্বস্ত বা প্রিয় জনের সঙ্গেই। বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু যার সঙ্গেই হোক, বলে ফেলুন। মনোচিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হোন।

যা ভালো লাগে করুন, ইতিবাচক যাই হোক। সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, একা বা আলাদা হবেন না।

ব্যায়াম করুন, নিয়মিত। মার্টিসনের রিভিউ গবেষণা (২০১২) অনুযায়ী “ননবাইপোলার ডিপ্রেসিভ” রোগীদের বিষণ্নতা কমাতে ব্যায়াম উপযোগী। পালুসকার রিভিউ গবেষণা (২০১২) অনুযায়ী স্বল্প ও মাঝারি হতাশা কমাতে ব্যায়াম যথেষ্ট। স্ট্রব্রিজ ও তার সহযোগীদের গবেষণা (২০০২) অনুযায়ী বয়সী তরুণদের ঘনঘন হতাশা কমাতে ব্যায়াম উপযোগী। আমান্ডা ডালির গবেষনা (২০০৮) অনুযায়ী হতাশার চিকিৎসায় ওষুধ ও মনোচিকিৎসার পাশাপাশি ব্যায়াম উপকারী। সময়মতো ও নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করুন। আপনার ক্ষমতা ও আকাঙ্ক্ষার সামঞ্জস্য রাখুন, অন্যকে দেখে প্রাপ্তির আশা করবেন না। সবার ক্ষমতা, শ্রম ও মেধা সমান হবে না, সন্তুষ্ট হওয়ার চেষ্টা করুন। হতাশার জন্য মদ, পানীয়, সিগারেট, নেশা করবেন না, নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না, এতে হতাশা বেড়ে যেতে পারে। তাই ঝেড়ে ফেলুন বিষণ্নতা। সর্বদা  থাকুন হাসি-খুশি ও উচ্ছল।

(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘হতাশা’ বিষয়ক প্রকাশনা অনুকরণে)

কে এম এমরান হোসেন

প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর