রাগ একটি ইমোশনাল বিষয়, যার বহিঃপ্রকাশ হয় বিভিন্নভাবে। যেমন কেউ নিজের শরীরে আঘাত করে, কেউ অন্যকে আঘাত করে কেউ বা আত্মহত্যা করে।
কারণ : ব্যক্তিত্বের দুর্বলতা, বিষণ্নতা নামক অসুখ, সূচিবাই, নেশাগ্রস্ত, ঘুমের সমস্যা, দীর্ঘদিন শারীরিক রোগে ভুগে থাকলে। বংশগত কারণে অনেকে রেগে যেতে পারে।
রাগের ক্ষতিকর দিকগুলো : শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষতি।কি কি ক্ষতি হতে পারে : সংসারে অশান্তি হয় ও সন্তান শিখে ফেলে। সংসার ভেঙে যায় হার্টঅ্যাটাক হয়। অন্যকে মেরে ফেলা। আত্মহত্যা, বিষপান, মদ্যপানের অভ্যাস করা। হাত-পা কাটা। ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়া। ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকা। ১. উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে রাগ তার জীবনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। অনেকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়, নেশা খাওয়া শুরু করে, রাগ করে বিয়ে করে, রাগ করে খারাপ পথে চলে যায়। ২. রাগ করে বাবা-মাকে প্রতিশোধ দেখাতে তার পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করে ফেলে। এসবই পরিকল্পনাহীন বয়সের বহিঃপ্রকাশ। ৩. মহিলাদের ক্ষেত্রে রাগ সংসার চালানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা হতে পারে। ৪. মা-বাবার রাগ সন্তানের মানসিক বুদ্ধি বিকাশ ও শারীরিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই রাগের ব্যাপারে আমাদেরকে আরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ,
সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ঢাকা।