সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

কর্মব্যস্ততায় ফিট থাকবেন যেভাবে

কর্মব্যস্ততাই উন্নয়নের মূল। গ্রাম-শহর সব জায়গায় মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত। তবে শহুরে ব্যস্ততা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অফিসকেন্দ্রিক।

এমনো কর্মজীবী আছেন যারা দিনের ১০-১২ ঘণ্টা অফিসে বসে কাটান। এমনকি বাসা থেকে অফিসে যাতায়াতের সময় গাড়ি ব্যবহার করেন এবং সেখানেও ২-৩ ঘণ্টা বসে কাটান। আমাদের শরীরের কাঠামো হাড়, মাংসপেশি, লিগামেন্ট ইত্যাদি দ্বারা গঠিত। হাত-পা এমনকি মেরুদণ্ডেও রয়েছে অস্থিসন্ধি বা জয়েন্ট। প্রাকৃতিকভাবেই আদিকাল থেকেই মানুষ নাড়াচাড়াপ্রবণ। হাত-পা এবং মেরুদণ্ডের নাড়াচাড়া আমাদের স্বাভাবিকতাকে প্রকাশ করে। তাই এই যুগে আমরা কায়িক পরিশ্রম কম করে শুধুমাত্র অফিসে বসে কাজ করার ফলে স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছি। ফলে আমাদের অস্থিসন্ধি, মাংসপেশি ঠিক থাকছে না। আক্রান্ত হচ্ছি ঘাড় কোমর পিঠ বা হাঁটু ব্যথাসহ নানা বাত ব্যথায়। আমরা আহার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে ক্যালরি সরবরাহ করছি ঠিকই কিন্তু তা ঠিকমতো ব্যবহার করছি না। ফলে শরীরে জমছে মেদ। হাড়গুলো হারাচ্ছে দৃঢ়তা, মাংসপেশি হচ্ছে দুর্বল।

করণীয় : যারা একটানা অফিসে বসে কাজ করেন তারা প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর চেয়ার টেবিল থেকে উঠে দাঁড়ান, দুই তিন মিনিট হাঁটুন। যারা দিনে রাতে হাঁটার সুযোগ পান না তারা বাসা থেকে কমপক্ষে ২০ মিনিটের পথ হেঁটে গিয়ে একটু দূরের স্টপেজ থেকে বাসে উঠুন এবং অফিসের আধা কিলোমিটার আগেই বাস থেকে নেমে হেঁটে যান, দেখবেন দিনের হাঁটা এতেই হয়ে গেছে। যারা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে অভ্যস্ত তারা গাড়ি কম ব্যবহার করুন। এতে শরীরও থাকবে ভালো। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় প্রচুর সবজি-ফলমূল যোগ করুন।

ডা. মোহাম্মদ আলী

বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

ফোন : ০১৮৭২৫৫৫৪৪৪

সর্বশেষ খবর