শনিবার, ১৭ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

গর্ভবতীদের কী করা উচিত, কী নয়

গর্ভবতীদের কী করা উচিত, কী নয়

গর্ভধারণ যে কোনো নারীর জীবনে পরম আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। এ সময়ে তারা গুরুজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীর উপদেশ মানতে গিয়ে বুঝতে পারেন না কোনটি তাদের করা উচিত। এসব উপদেশ অনেক সময় মা ও বাচ্চার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গর্ভধারণের পর অনেক মা মনে করেন ভিটামিন ওষুধ খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায় এবং সিজারের সম্ভাবনা বাড়ে।  এটি একটি ভুল ধারণা। ভিটামিন মায়ের শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে এবং হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। অনেক মা এ সময় শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকেন। প্রকৃতপক্ষে কিছু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা (যেমন, প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, রিপিটেড  এবরসন, ওটএজ) ছাড়া গর্ভবতী মায়েরা স্বাভাবিক সব কাজই চালিয়ে যেতে পারেন। তবে প্রথম ও শেষ তিন মাস কিছুটা সাবধানে থাকতে বলা হয়। গর্ভবতী অবস্থায় একজন মা প্রতিদিন ৩০ মিনিট যেকোনো মধ্যম মানের ব্যায়াম (যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা) করতে পারেন সপ্তাহে ৩ থেকে ৭ দিন।  এতে করে অতিরিক্ত ওজন হওয়া, ডায়াবেটিস এবং প্রেসারের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। আবার অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের জন্য কম ওজনের শিশু জন্ম নিতে পারে। অনেক মায়ের সংশয় থাকে অতিরিক্ত আলট্রাসাউন্ড বাচ্চার কোনো ক্ষতি করে কিনা। আলট্রাসাউন্ডে যে পরিমাণ রেডিয়েশন থাকে তা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর নয়। সাধারণত প্রেগনেন্সিতে দুই-চারবার আলট্রাসাউন্ড করা লাগতে পারে।

তবে মা বা বাচ্চার কোনো জটিলতার ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি এই পরীক্ষা করার দরকার হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ী-ত্ধু এবং ঈঞ ংপধহ রেডিয়েশনজনিত ক্ষতি করে, তাই এ পরীক্ষাগুলো করা যায় না।

ডা. নুসরাত জাহান, সহযোগী অধ্যাপক (অবস-গাইনি)

ডেলটা মেডিকেল কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর