শিরোনাম
শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধের কারণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক

দুর্বলতা : অনেক কাজ একত্রে সম্পাদন করতে গেলে মাংসপেশির ব্যথা, ভাইরাল ফিভার, সর্দি-কাশি জাতীয় অসুস্থতা, অতিরিক্ত শারীরিক কর্ম-সম্পাদন, হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত কায়িক শ্রমের কারণে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে, যা কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যেতে পারে। তবে অনেক ধরনের গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার জন্য যে  দুর্বল  হতে পারেন, যা দীর্ঘ সময় থাকে এবং বৃদ্ধি পায়।

থাইরয়েড হরমোনজনিত অসুস্থতা : এতে দুর্বলতার পাশাপাশি কার্য-সম্পাদনে অনীহা, শারীরিক ওজন হ্রাস-বৃদ্ধি, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন, ত্বকের পরিবর্তন, বেশি শীত বা গরম অনুভূত হওয়া, কোষ্ঠ-কাঠিন্য অথবা পেট খারাপ হওয়া, চুল ও নখের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হওয়াসহ অনেক ধরনের উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়।

রক্তে লবণজাতীয় পদার্থের ভারসাম্য নষ্ট হলে : বমি, পাতলা পায়খানা, কিডনির অসুখ, অত্যধিক ঘাম হওয়া, হরমোনজনিত অসুস্থতার জন্য এমন পরিস্থিতি হতে পারে। ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের কারণে এবং এ সব অসুস্থতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণেও দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।

রক্তশূন্যতা : রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে।

হৃদরোগ : ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ, হৃৎপিণ্ডের ভাল্বের সমস্যা, জন্মগত হৃদরোগ, হার্ট ফেইলুর, কার্ডিওমাইওপ্যাথি, হূৎপিণ্ডে রিং পরা বা বাইপাস অপারেশনের পরবর্তী অবস্থা ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হওয়া, হাত, পা, মুখ ফুলে যাওয়া  বা পানি আসা, মাথাঘোরা, বুক ধড়ফড় করা, রাতে শ্বাসকষ্ট ও কাশি দেখা দেওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।  তাই এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়া উত্তম।

সর্বশেষ খবর