সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

স্ট্রোকের প্রকারভেদ

মস্তিষ্ক রক্ত সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হলে মুহূর্তের মধ্যে তার চেতনা লোপ পায়। ফলস্বরূপ মস্তিষ্ক স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

১। ইসকিমিক স্ট্রোক : এর কারণ কোনো একটা প্রধান সেরিব্রাল, আর্টারির মধ্যে রক্ত সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত ঘটা। বাধাপ্রাপ্ত হয় প্রথমত, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে। এর ফলে ধমনীর গাত্রে চর্বি জমে উঁচু হয়ে ওঠে রক্ত সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করে, একে এথেরোমা বলে।  ২। দ্বিতীয়ত এখানে বাধা

পেয়ে রক্ত জমাট বাঁধে এবং একটা অংশ ভেঙে বেরিয়ে চলে যায়। তাকে এম্বলিজম বলে। এথেরোমা হার্টে এরকম হয়, সেখান থেকে একটা অংশ বেরিয়ে হার্টে গিয়ে স্ট্রোক হয়।

ক্লিনিক্যাল ফিচার :

(ক) মাথায় যন্ত্রণা, (খ) শরীরের ডান সাইড অথবা বাম সাইড অবস হয়ে যাবে। (গ) ডিসফেসিয়া অথবা হেমিপ্রেসিস (কথা বলতে না পারা), যদি ইসকিমিয়া তীব্র হয় তাহলে কথা বলার শক্তি সম্পূর্ণভাবে হ্রাস হতে পারে। নিজের চিন্তাভাবনাকে কথায় প্রকাশ করার অক্ষমতা, এ অবস্থায় রোগীর বুদ্ধিবৃত্তি ও ইচ্ছাশক্তি স্বাভাবিক থাকে।

প্যারালাইসিস কি কারণে হয় : স্ট্রোক থেকে প্যারালাইসিস হয়।

স্ট্রোক কাকে বলে? মস্তিষ্কের কেন্দ্রস্থলের কার্যকারিতার দ্রুতগতিতে হ্রাস হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ। যার উৎপত্তি রক্তবহা নালিতে এবং যেখানে দুর্বলতা ২৪ ঘণ্টার পরও স্থায়ী হয়। যখন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর উন্নতি হতে দেখা যায় তখন একে ট্রানসিয়েট ইসকিমিয়া এটাক বলা হয়। অর্থাৎ অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ইসকিমিয়া অনেকদিন থাকলে তাকে ইনফারকশন বলা হয়। দেহের কোনো অংশে বা যন্ত্রে রক্ত জমাট বাঁধা রক্তের দলা রক্তবহা নালিতে আটকে গিয়ে ওই স্থানের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া অবস্থাকে ইনফারকশন বলে।

 

ডা. মো. মোশাররফ হোসেন

ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর