শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

চিকুনগুনিয়ার ব্যথায় করণীয়

চিকুনগুনিয়ার মূল উপসর্গ হলো জ্বর এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা। জ্বর অনেকটা ডেঙ্গুজ্বরের মতোই। দেহের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে প্রায়ই ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, তবে কাঁপুনি বা ঘাম দেয় না। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ জ্বালা করা, গায়ে লাল লাল দানার মতো র‌্যাশ, অবসাদ, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা হয়, এমনকি ফুলেও যেতে পারে।

জ্বর সাধারণত ২ থেকে ৫ দিন থাকে এবং এরপর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে তীব্র অবসাদ, পেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা ইত্যাদি জ্বর চলে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনকি মাসের পর মাসও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বা প্রদাহ থাকতে পারে যা অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে স্বাভাবিক কাজ করতে অক্ষম করে তোলে। তাই ব্যথার কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে যা করা যেতে পারে— ১। আক্রান্ত জয়েন্টে বরফ সেঁক দিলে তা খুব ভালো ফল দেয়। একটা তোয়ালে বা নরম কাপড়ে বরফকুচি নিয়ে ব্যথার স্থানে ৩ থেকে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট বরফ সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এতে প্রদাহ কমে ব্যথা কমে আসবে। সরাসরি বরফ লাগাবেন না, এতে কোল্ড বার্ন হতে পারে। ২। ব্যথার স্থানে তিলের তেল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করা যেতে পারে। ম্যাসাজের ফলে উক্ত স্থানের রক্ত চলাচল বেড়ে ব্যথা কমবে। তবে অধিকহারে ও দীর্ঘ সময় ম্যাসাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে জয়েন্টের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।  ৩। অনেক চিকিৎসক এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে বলেন।

৪। ফিজিওথেরাপি : যে কোনো প্রদাহজনিত ব্যথা নিরাময়ে ফিজিওথেরাপি কার্যকর। তবে চিকিৎসানির্ভর করবে রোগীর  অবস্থার ওপর। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াটা খুব জরুরি।

ডা. মোহাম্মদ আলী

পেইন ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, এইচপিআরসি, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর