শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

নতুন কোষ্ঠকাঠিন্য

অনেকেরই প্রতিদিন নিয়মিত কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়। তারপর মধ্যবয়সে এসে অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন কোষ্ঠ নিয়মিত পরিষ্কার হয় না, অনিয়মিত হয়ে গেছে কিংবা কখনো কষা, কখনো নরম, কখনোবা আম বা মিউকাস যায়। পেটের মধ্যেও একটু সমস্যা দেয়। এসব দেখা দিলে অবশ্যই সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। কারণ এর সবগুলোই কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। অবশ্য অন্য আরও অনেক রোগে যেমন- ক্রানস ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, টিবি, এনাল ফিসার, অবট্রাকটেড ডিফিকেশন সিনড্রম রোগেও এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই রোগটি যথাযথভাবে নির্ণিত হওয়া প্রয়োজন। তাই এরকম লক্ষণ দেখা দিলে  কোলোরেকটাল সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। আর এতে অন্যান্য পরীক্ষার সঙ্গে কোলোনোস্কোপি নামক একটি পরীক্ষা করতে হবে। যাতে ক্যান্সারসহ সব রোগ নির্ণয় করা যায়। কোলন ক্যান্সার সারা বিশ্বেই একটি সাধারণ রোগ। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে ফুসফুসের ক্যান্সারের পরেই এর স্থান। তবে কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রধান আশার বিষয় হচ্ছে, প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ নির্ণয় করা গেলে রোগ প্রায় শতভাগ ভালো হয়ে যেতে পারে। কিন্তু রোগ যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে জটিল আকার ধারণ করে। তাই রোগ ভালো করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করার বিকল্প নেই। তাই মধ্যবয়সে এসে কোষ্ঠের ধরন ও প্রকৃতি পরিবর্তিত হলে দ্রুত এর কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ ‘সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড়’ এ প্রবাদটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে  শতভাগ সত্য। তাই প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে এসব রোগের ক্ষেত্রে জটিলতা কমে। 

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান

জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

ফোন: ০১৮৬৫৫৫৫৫১১

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর