শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

পিএলআইডি

পিএলআইডি

কোমর ব্যথার কারণগুলোর অন্যতম হলো পিএলআইডি বা লাম্বার ইন্টার ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রল্যাপস। পিএলআইডি তিন মাত্রার হতে পারে- স্বল্প, মাঝারি ও তীব্রমাত্রা।

লক্ষণসমূহ : ব্যথা কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। পায়ে ঝি ঝি ধরতে পারে বা শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। অনেকে বলে থাকেন পা চাবাচ্ছে। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বাড়ে, বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে শোয়া থেকে ওঠে বসতেই পারেন না।

রোগ নির্ণয় : আমাদের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ পাঁচটি কশেরুকা বা ভার্টিব্রা দ্বারা গঠিত। এর নিচে থাকে স্যাক্রাম। এই পাঁচ কশেরুকা এবং স্যাক্রামের মাঝে তালের শাঁসের মতো স্থিতিস্থাপক চাকতি থাকে। এই চাকতিগুলো মেরুদণ্ডের শক এবজর্বারের ভূমিকা পালন করে। পিএলআইডিতে এই চাকতিটি তার অবস্থান থেকে সরে যায় এবং সরে যাওয়া চাকতিটি স্নায়ুর গোড়ায় চাপ প্রয়োগ করে, ফলে কোমরে ব্যথা শুরু হয়। এছাড়া স্নায়ুগুলো কোমর থেকে বের হয়ে পায়ের দিকে চলে গেলে পায়ের দিকেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

 চিকিৎসা : পিএলআইডি মানেই অপারেশন নয়। মাঝারি মাত্রার পিএলআইডি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ডা. মোহাম্মদ আলী

চিফ কনসালট্যান্ট, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর