বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

মুখের অনাকাঙ্ক্ষিত লোম ও প্রতিকার

মহিলাদের মুখে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা দিলে তাকে ‘হিরসুটিজম’ বলে। যেকোনো বয়সের মহিলাদের বেলায়ই ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। এটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ বলেও ধরে নেয়া হয়। তবে অনেক সময় কোনো রোগ ছাড়াও মুখে বাড়তি মাত্রায় লোম থাকতে পারে। বংশগত কারণেই এমনটি বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের শরীরের ‘অ্যান্ডোজেন’ নামক হরমোনের আধিক্যই এ রোগের কারণ। এ জন্য দু’টি গ্রন্থিকে দায়ী করা হয়। একটি হলো অ্যাডরিনাল এবং অপরটি নারীর ডিম্বাশয় বা ওভারি। অবিবাহিত মহিলাদের এ সমস্যা হলে তার অনিয়মিত মাসিক থেকে এমনটি হতে পারে। বিবাহিত হলে অনিয়মিত মাসিক এবং এর সাথে সন্তান হওয়া বা না হওয়ার সম্পর্ক জড়িত। এ অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় লোমকে ইলেকট্রিক মেশিনের সাহায্যে স্থায়ীভাবে নির্মূল করার পদ্ধতি ‘ইলেকট্রইপিলেশন’ করা হয়ে থাকে। যদিও লেজার প্রযুক্তি আসার পর এখন এ পদ্ধতি খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। লেজার পদ্ধতি ব্যবহার করা এখন সময়ের দাবি। লেজার চিকিৎসা একটি কসমেটিক চিকিৎসা। এটি লোমের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে চুলকে অঙ্কুরেই নষ্ট করে দেয়। এ থেকে নির্গত আলোকরশ্মি ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চুলকে ধ্বংস করে।

ইনটেল পালস লাইট এটি আইপিএল নামে পরিচিত। এ লেজার দুটি ভিন্ন ধরনের মিশ্রিত রশ্মির সৃষ্টি করে, যা ত্বকের গভীরে ও উপরিভাগে অবস্থিত চুলকে অঙ্কুরেই নষ্ট করে। এ পদ্ধতিতে সময় অনেক কম লাগে। কারণ এ যন্ত্রের চিকিৎসা অনেক বড়। সাধারণত চার সপ্তাহ পরপর চারটি সিটিংয়ের প্রয়োজন। এটি ব্যথামুক্ত, রক্তপাতবিহীন পদ্ধতি। এটি লোম দূরীকরণে শতভাগ কার্যকর একটি লেজার চিকিৎসা পদ্ধতি। বর্তমানে এ পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী কার্যকর পদ্ধতি। চুল নির্মূলে এ পদ্ধতি বর্তমানে গ্রহণযোগ্য।

ডা. দিদারুল আহসান

চর্ম ও অ্যালার্জিরোগ বিশেষজ্ঞ আল-রাজী হাসপাতাল, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর