ফলের মধ্যে বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টেস থাকে, যা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজে লাগে। জেনে হয়তো চমকে যাবেন যে, ফলের খোসাতেও লুকিয়ে আছে বিভিন্ন উপাদান যা শরীর ও সৌন্দর্যের উন্নতি ঘটায়।
এবার জেনে নিন, সেরকম কয়েকটি ফল- যার খোসা ফেলে দেওয়ার আগে ভেবে দেখা যেতে পারে।
কমলালেবু : কমলা লেবু দেখতে যেমন চমৎকার এর পুষ্টিগুণও তেমন। এই ফলটি সবাই খেতেও পছন্দ করেন। ওজন কমানোর জন্য এটি খুব কার্যকর। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও ব্লিচ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও ওরাল হেল্থূ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্বল দূর করতেও সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায় ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।কলা : কলা আমরা সবাই খেয়ে থাকি। জানেন কি কলার খোসার ভিতরের সাদা অংশ দাঁতে ঘষলে তা আরও সাদা আর ঝকঝকে হয়ে যায়। এ ছাড়াও কলার খোসা পোড়া চামড়ার ওপর রাখলে ব্যথা কমিয়ে দেয়। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে কলার খোসা ঘষতে পারেন।
বেদানা : বেদানার খোসা মিহি করে বেটে মেছতা, ব্রণ ও যেকোনো ফুসকুড়ির ওপর লাগিয়ে রাখুন সেরে যাবে। এ ছাড়াও হার্টকে ভালো রাখে। ঠাণ্ডা লেগে গলা খুস খুস ঠিক করে। হাড়ের মজবুতি বাড়ায় এবং দাঁত ভালো রাখে।
তরমুজ : তরমুজের খোসার সাদা অংশ খুব ভালো। ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ত্বকের ওপরের নোংরা খুব সহজেই তুলে ফেলতে পারে। এর আরও একটা উপকার হলো ত্বকের Free Radical কে নিউট্রিলাইজ করে দেয় ফলে ত্বক ভালো থাকে।
শসা : শসার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে এবং ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে ওজন কমানো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শসার খোসায় বিটাক্যারোটিনূ এক ধরনের ভিটামিন অ ও ভিটামিন ক আছে যা হাড় শক্ত করে। রক্ত জমতে দেয় না এবং চোখের দৃষ্টির উন্নতি ঘটায়।
আপেল : এর খোসায় Flavonoids আছে যা ক্যান্সার সেলকে নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়াও উর্সোলিক অ্যাসিড আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।