বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফলের খোসাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

স্বাস্থ্য ডেস্ক

ফলের খোসাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

ফলের মধ্যে বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টেস থাকে, যা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজে লাগে। জেনে হয়তো চমকে যাবেন যে, ফলের খোসাতেও লুকিয়ে আছে বিভিন্ন উপাদান যা শরীর ও সৌন্দর্যের উন্নতি ঘটায়।

এবার জেনে নিন, সেরকম কয়েকটি ফল- যার খোসা ফেলে দেওয়ার আগে ভেবে দেখা যেতে পারে।

কমলালেবু : কমলা লেবু দেখতে যেমন চমৎকার এর পুষ্টিগুণও তেমন। এই ফলটি সবাই খেতেও পছন্দ করেন। ওজন কমানোর জন্য এটি খুব কার্যকর। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও ব্লিচ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও ওরাল হেল্থূ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্বল দূর করতেও সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায় ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।

কলা : কলা আমরা সবাই খেয়ে থাকি। জানেন কি কলার খোসার ভিতরের সাদা অংশ দাঁতে ঘষলে তা আরও সাদা আর ঝকঝকে হয়ে যায়। এ ছাড়াও কলার খোসা পোড়া চামড়ার ওপর রাখলে ব্যথা কমিয়ে দেয়। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে কলার খোসা ঘষতে পারেন।

বেদানা : বেদানার খোসা মিহি করে বেটে মেছতা, ব্রণ ও যেকোনো ফুসকুড়ির ওপর লাগিয়ে রাখুন সেরে যাবে। এ ছাড়াও হার্টকে ভালো রাখে। ঠাণ্ডা লেগে গলা খুস খুস ঠিক করে। হাড়ের মজবুতি বাড়ায় এবং দাঁত ভালো রাখে।

তরমুজ : তরমুজের খোসার সাদা অংশ খুব ভালো। ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ত্বকের ওপরের নোংরা খুব সহজেই তুলে ফেলতে পারে। এর আরও একটা উপকার হলো ত্বকের Free Radical কে নিউট্রিলাইজ করে দেয় ফলে ত্বক ভালো থাকে।

শসা : শসার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে এবং ক্যালোরি প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে ওজন কমানো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শসার খোসায় বিটাক্যারোটিনূ এক ধরনের ভিটামিন অ ও ভিটামিন ক আছে যা হাড় শক্ত করে। রক্ত জমতে দেয় না এবং চোখের দৃষ্টির উন্নতি ঘটায়।

আপেল : এর খোসায় Flavonoids আছে যা ক্যান্সার সেলকে নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়াও উর্সোলিক অ্যাসিড আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

সর্বশেষ খবর