অধিকাংশ মহিলা তাদের জীবদ্দশায় যত রকম সিস্টের সম্মুখীন হয়েছেন চকোলেট সিস্ট তার একটি। অনেক মহিলা প্রথমেই এটি জানতে চান, এই চকোলেট সিস্ট তাদের গর্ভধারণে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে কিনা এবং এই চকোলেট সিস্ট যদি অপসারণ না করা হয় তাহলেও গর্ভধারণে কোনো অসুবিধা হয় কিনা? মূলত এই উত্তরটি জটিল, কারণ যদি সিস্ট সংখ্যায় থাকে একটি এবং তার আকার হয় ছোট তাতে গর্ভধারণে জটিলতা কম। অন্যদিকে যদি সিস্ট সংখ্যায় থাকে বেশি এবং তাদের আকার হয় বড় তখন তা তাত্ক্ষণিক চিকিত্সা করাই শ্রেয়।
উপসর্গ : ঋতুস্রাবের আগে বা পরে তলপেটে ব্যথা, মলত্যাগের সময় পেটে ব্যথা, সহবাসের সময় ব্যথা, তলপেট বড় হয়ে যাওয়া, কোমরে ব্যথা, স্তনে ব্যথা, বমি বমি ভাব।
গুরুতর অবস্থায় : প্রচণ্ড তলপেটে ব্যথা, জ্বর, মাথা ঘুরানো বা জ্ঞান হারানো, ঘন ঘন শ্বাস ত্যাগ। চকোলেট সিস্টের রাপচার বা ভেঙে যাওয়া মারাত্মক পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে, এতে করে অতিরিক্ত রক্তপাত, জ্বর, বমি এবং অসহনীয় তলপেটে ব্যথা হতে পারে। রুটিন পেলভিক এক্সামিনেশনে এবং সেই সঙ্গে এন্ডোভ্যাজাইনাল আলট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসকরা চকোলেট সিস্ট শনাক্ত করে থাকেন।চিকিত্সা: চকোলেট সিস্টের চিকিত্সায় ডাক্তাররা রোগীর বয়স, সিস্টের ধরন, আকৃতি, এএমএইচ লেভেল এবং লক্ষণ/উপসর্গ অনুযায়ী
চিকিত্সা দিয়ে থাকেন। ছোট চকোলেট সিস্টের (আকার ৩ সেমির কম) সাধারণত চিকিত্সার প্রয়োজন হয় না, যদি সিস্ট সংখ্যায় থাকে বেশি এবং তাদের আকার হয় বড় তখন চিকিৎসকরা সিস্টের ধরন, আকৃতি এবং লক্ষণ/উপসর্গ অনুযায়ী মেডিকেশন দিয়ে থাকেন, যেমন ডানাজল বা গোনাডোট্রপিন রিলিজিং হরমোন এনালগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট হলো সার্জারি, যা করা হয় লেপারস্কপির মাধ্যমে। ডা. এমএস মলি, এইচএমও, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।