শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

গর্ভকালীন খাদ্য ও পুষ্টি মূলত গর্ভাবস্থায় খাদ্য চাহিদা এবং পুষ্টির গুণগতমান নিয়ে আলোচনা করা নয়, গর্ভ-পূর্ববর্তী ও গর্ভ-পরবর্তী খাদ্য এবং পুষ্টি নিয়েও  আলোচনা করা হয়। গর্ভ-পূর্ববর্তী খাদ্য এবং পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা (Low Birth Weight Baby-LBW), প্রতিরোধ করে।

ফলিক এসিড : গর্ভ-পূর্ববর্তী অবস্থায় গর্ভধারণের চেষ্টার শুরু থেকে ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্টেশন দেওয়া হয় যা স্পাইনাল বিফিডা এবং অন্যান্য নিউরাল টিউব ডিফ্যাক্ট (জন্মগত ত্রুটি) প্রতিরোধ করে। ফলিক এসিড গর্ভধারণের চেষ্টার শুরু থেকে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস পর্যন্ত প্রতিদিন ০.৪ মি.গ্রা. করে এবং গর্ভধারণের শেষ ৬ মাস প্রতিদিন ০.৬ মি.গ্রা. করে খেতে হবে এবং শিশুকে বুকের দুধ দিচ্ছেন তাদের প্রতিদিন ০.৫ মি.গ্রা. করে খেতে হবে সঙ্গে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় খাদ্য এবং পুষ্টি

গর্ভাবস্থায় খাদ্য এবং পুষ্টির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ফলিক এসিড, আয়োডিন, আয়রন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ডিএইচএ, ইপিএ। সেই সঙ্গে প্রচুর সবুজ শাকসবজি গ্রহণ এবং ফলমূল (সাইট্রাস যুক্ত ফল সবজি ব্যতীত) গ্রহণ করতে হবে। গর্ভাবস্থায় এসব সাপ্লিমেন্টেশনের সঙ্গে প্রচুর পানি পান করা ও জিঙ্ক সাপ্লিমেন্টেশন গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি, যা জন্মগত অনেক ত্রুটি সেই সঙ্গে উপযুক্ত সময়ের পূর্বেই জন্মগ্রহণ, গর্ভকালীন খিঁচুনি প্রতিরোধ করে। এছাড়া গর্ভ-পরবর্তী খাদ্য এবং পুষ্টি একজন মায়ের জন্য অত্যন্ত অত্যাবশ্যক। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

ডা. এমএস মলি

এইচএমও, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর