বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শৈশবকালীন ডায়াবেটিস

শৈশবকালীন ডায়াবেটিস

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১০ বছর বা তার ঊর্ধ্বের বয়সের শিশুদের শৈশবকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। আবার ইউরোপে পাঁচ বছরের নিচের বয়সীদেরও এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। মূলত এক থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেই তাকে শৈশবকালীন ডায়াবেটিস বলে। শৈশবকালীন ডায়াবেটিস বলতে মূলত টাইপ-১ ডায়াবেটিসকেই বোঝানো হয়। কিন্তু টাইপ-২ ডায়াবেটিসও হতে পারে। যদিও ডায়াবেটিস নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে, তারপরও শৈশবকালীন ডায়াবেটিসের প্রকৃত কারণ এখনো অজানা। মূলত জিনগত কারণে কিছু ভাইরাস যেমন : মামস, মিসেলস, বুবেলা এর কারণেও শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। আবার কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর জন্মের তিন মাসের ভিতর মায়ের বুকের দুধ ছাড়া বাইরের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের মাঝেও এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এই রোগের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে—হঠাৎ করে পানি বেশি খাওয়া বা পানির তৃষ্ণা বেশি লাগা। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া বা দুর্বল হয়ে যাওয়া। যেহেতু এই রোগের প্রকৃত কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি, সেহেতু এটি প্রতিরোধ করাও কঠিন। তবে, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, যেটিকে আমরা মূলত শৈশবকালীন ডায়াবেটিস বলে থাকি, এ ক্ষেত্রে ইনসুলিন দিয়ে শিশুকে সুস্থ রাখা যায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের অগ্নাশয় নামক অঙ্গের বিটা- সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ইনসুলিন নামক হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না বলে বাইরে থেকে ইনসুলিন দিয়ে সুস্থ রাখা যায়।  আবার টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার প্রধান কারণ—জিনগত সমস্যা।

ডা. সামিয়া, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড

হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর