ঝুঁকিপুর্ণ গর্ভধারণের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে নিচের কারণগুলোই মুখ্য।
রক্তরোগজনিত কারণ : গর্ভধারিণী মায়ের যদি সিক্যাল শেল ডিজিস বা থ্যালাসেমিয়া থাকে তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনিজনিত রোগ : এতে করে গর্ভপাত, উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভকালীন খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।বিষণ্নতা : যা থেকে পরবর্তীতে আনন্দদায়ক কাজের প্রতি অনীহা আসে সঙ্গে নিজেকে মূল্যহীন, অপরাধী অপরাধী মনে হয়। সর্বোপরি জীবনকে মূল্যহীন ভাবা ও বেঁচে থাকার অর্থ হারিয়ে ফেলা। এ থেকেও অনেক সময় গর্ভপাত হয়।
উচ্চ রক্তচাপ : এতে করে গর্ভপাত, গর্ভকালীন খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং অন্যান্য অনেক সমস্যা হতে পারে যা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের একটি অন্যতম কারণ।
এইডস : যা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের অন্যতম কারণ।
মায়ের বয়স : মায়ের বয়স যদি ৩৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে তা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের একটি কারণ।
স্থূলতা : গর্ভধারণের আগে মায়ের যদি বিএমআই (BMI) ৩০ এর ঊর্ধ্বে থাকে তাহলে ডায়াবেটিস সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভকালীন খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
হরমোনজনিত সমস্যা : হরমোনজনিত সমস্যা যেমন থাইরয়েড হরমোন কম বা বেশি হওয়া সঙ্গে টাইপ ১, ২ ডায়াবেটিস থাকলে জন্মের পর শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস, গ্লুকোজ লেভেল কম থাকতে পারে।
গর্ভে একের অধিক বাচ্চা : এতে গর্ভপাত, উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
ডা. এমএস মলি
এইচএমও, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।