শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

গ্লুকোমা : চোখের একটি রোগ

গ্লুকোমা : চোখের একটি রোগ

গ্লুকোমা চোখের একটি রোগ যা চোখের ‘অপ্টিক নার্ভ’ নামক স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। অপ্টিক নার্ভ রেটিনা থেকে সংবেদনশীলতা প্রেরণ করে আমাদের মস্তিষ্কে। গ্লুকোমা মূলত আমাদের চোখের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় চোখের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলেও এই রোগ হতে পারে, যদি অপ্টিক নার্ভে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে এ রোগ নিরাময় করা সম্ভব। ৪০-৮০ বছর বয়সের মধ্যে এই রোগের প্রবণতটা বেশি। যে সব কারণে এই রোগ হতে পারে তা হল—বয়স বৃদ্ধি হলে (৪৫ বয়সোর্ধ্ব মানুষ)। পরিবারের কারও এ রোগ থাকলে। চোখের রক্তচাপ বেশি হলে। ডায়াবেটিস থাকলে অথবা চোখে টিউমার হলে। দীর্ঘদিন স্টেরয়েড সেবন করলে অথবা চোখে কোনো ধরনের আঘাত পেলে। চক্ষুজনিত রোগ থাকলে। আমাদের চোখের স্বাভাবিক রক্তচাপ ৪-২২ এমএম মারকারি। রক্তচাপ কমলে অথবা বাড়লে আমাদের স্নায়ুতে সরাসরি সেটা আঘাত করে। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে কিছু বোঝা না গেলেও, পরবর্তীতে কিছু কিছু উপসর্গ বোঝা যায়। যেমন: চোখে ব্যথা, গ্লুকোমার প্রথম এবং প্রধান উপসর্গ। চোখে লালচে ভাব হয়ে যাওয়া। চোখে ঝাপসা দেখা। এছাড়া মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব হওয়া। গ্লুকোমের চিকিৎসার জন্য কিছু চোখের ড্রপ যেমন:- বেটম ব্লকার, কোলিনারজিক তজেন্টস ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যবহার করা ভালো। আবার অস্ত্রোপচার  করেও এর চিকিৎসা হয়। এছাড়া প্রতিরোধের জন্য যা করা যেতে পারে : খবারে পরিমিত লবণ খাওয়া। প্রতিদিন ব্যায়াম করা। রেগুলার চোখের পরীক্ষা করা। ৪০ বছরের আগে প্রতি ২ বছরে একবার, ৪০-৫৪ বছর বয়সের মধ্যে প্রতি ১-৩ বছরের মধ্যে একবার, ৫৫-৬৪ বছরের মধ্যে প্রতি ১-২ বছরের মধ্যে একবার, ৬৫ বছরের পরে প্রতি ৬-১২ মাসের মধ্যে একবার চেকআপ জরুরি।

ড. সামিয়া তাসনীম, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর