বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

অসময়ে চুল পড়ার কিছু কারণ

অসময়ে চুল পড়ার কিছু কারণ

অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, অ্যান্ড্রোস্ট্রেনিডিয়ন, ডিহাই ড্রোএপিঅ্যান্ড্রোস্তেরন হরমোনগুলো সাধারণত পুরুষের বেশি ও মহিলাদের কম পরিমাণে থাকে। এ হরমোনগুলো হেয়ার ফলিকলের ওপর কাজ করে ও চুল পড়া ত্বরান্বিত করে। সে কারণে পুরুষের চুল বেশি পড়ে। তবে সবারই যে পড়বে তা নয়, যাদের এসব হরমোনের প্রভাব বেশি তাদের বেশি করে চুল পড়ে। বংশগত কারণেও চুল পড়তে পারে। পুরুষের চুল পড়া বা টাক পড়া সাধারণত ১৮ বছর থেকেই শুরু হতে পারে। এটিকে বলে মেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস বা পুরুষালি টাক। অর্থাৎ কপাল থেকে শুরু করে পেছন দিকে চুল উঠতে থাকে। মহিলাদের মেনোপজের সময় ও পরে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনগুলো আনুপাতিক হারে বেড়ে যায়, তখন চুল বেশি করে পড়তে শুরু করে। তবে এ ক্ষেত্রে ফিমেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস হয়ে থাকে। শুধু কপালের দিক থেকে নয়, চুল পড়া শুরু হয় পুরো মাথা থেকেই। অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনই মেয়েদের চুল পড়া ও ছেলেদের টাকের সবচেয়ে বড় কারণ। দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে চুল পড়তে পারে। তবে এ চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায়। তবে দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে। আরও বেশ কিছু কারণে চুল পড়তে পারে, যেমন : জটিল কোনো অপারেশন, দীর্ঘদিন জ্বর, হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ সেবন ইত্যাদি।

চিকিৎসা : ওষুধের মাধ্যমে, অনেক গবেষণার পর ফেনাস্টেরাইড আর মিনোক্সিডিল নামের দুটো ওষুধ চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দুটি ওষুধের-ই অল্প কিছু সাইড ইফেক্ট আছে। মিনোক্সিডিল এর তিনটা কনসেনট্রেশন পাওয়া যায়। ২%, ৫% ও ৭.৫%। ২% মিনোক্সিডিল মেয়েদের জন্য আর ৫%, ৭.৫% মিনোক্সিডিল ছেলেদের জন্য। স্প্রে করে মাথার স্ক্যাল্পে দিতে হয়। পুরুষদের ফেনাস্টেরাইড এবং মিনোক্সিডিল একসঙ্গে দেওয়া যায়। এছাড়া লেজার থেরাপি, পিআরপি, চুল প্রতিস্থাপন ইত্যাদি দিয়ে চুল গজানো যায় অনেক ক্ষেত্রে।

ডা. তুষার সিকদার, চর্মও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং কনসালটেন্ট, ট্রমা সেন্টার, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর