শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাইক্রোওয়েভ ও টেইস কি

মাইক্রোওয়েভ ও টেইস কি

ফুসফুস ও লিভারে ক্যান্সার আক্রান্ত হলে সাধারণত সার্জারি তার মূল চিকিৎসা পদ্ধতি। এসব রোগের চিকিৎসায় অনেক পদ্ধতি সংযোজিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাইক্রোওয়েভ ও টেইস পদ্ধতিও বহমান। 

মাইক্রোওয়েভ কি :  লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সার টিউমারে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি অন্যতম ও সফল চিকিৎসা হলো মাইক্রোওয়েভ। এটা হলো হাইভোল্টেজ ইলেকট্রিসিটিকে লো-ভোল্টেজে বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে ক্যান্সার টিউমারের মধ্যে প্রবাহিত করে সম্পূর্ণরূপে, ক্যান্সার টিউমারের মধ্যে ক্যান্সার সেলকে সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে ফেলার পদ্ধতি হলো মাইক্রোওয়েভ। এটা অত্যন্ত সফল ও উন্নত বিশ্বের সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা লিভার ও ফুসফুস টিউমার এবং ক্যান্সারে প্রয়োগ করা হয়। যাদের হেপাটাইটিস বি, সি, লিভার সিরোসিস ও প্রাইমারি লিভার ক্যান্সার হয়ে থাকে তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ও সফল পদ্ধতি মাইক্রোওয়েভ। এই মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে ১২ সে.মি পর্যন্ত লিভার টিউমারকে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলে ক্যান্সার সেলকে অকার্যকর করা যায়। মাইক্রোওয়েভ পদ্ধতিতে বর্তমানে  রোগীকে অজ্ঞান করার প্রয়োজন পড়ে না।

টেইস : ট্রান্স আরট্যারিয়াল কেমো এম্বোলাইজেশন। এর দ্বারা লিভার ও ফুসফুস টিউমার এবং লিভার ও ফুসফুস কান্সারের চারপাশে কেমো থেরাপি প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে যে কোনো ধরনের বড় লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সার টিউমারকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত।

আরএফএ : এটা অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম এক সফল সংযোজন। এই চিকিৎসা পদ্ধতি এখন দেশে ব্যাপক সমাদৃত। এর মূল কারণ হচ্ছে— আমাদের দেশের লিভার ক্যান্সারের রোগীরা যখন যখন ডাক্তারের কাছে যায় তাদের ক্যান্সারের টিউমারটা অনেক বড় হয়ে যায়। দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই সার্জারিও সম্ভব হয় না।

তখন দুই থেকে তিনবার অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে একবারই এই চিকিৎসা পদ্ধতিই প্রয়োগ করলে লিভার টিউমারের মধ্যে যে ক্যান্সার সেলগুলো থাকে বা কোষগুলো থাকে তা মেরে ফেলা সম্ভব হয়।

মাইক্রোওয়েভ ও টেইস : উন্নত বিশ্বে উভয় চিকিৎসা পদ্ধতি যথেষ্ট সমাদৃত। কোনো ক্ষেত্রে লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের আগে মাইক্রোওয়েভ তার ২/৩ সপ্তাহ পরে টেইস পদ্ধতি করা হয়ে থাকে। একে সমন্বয় চিকিৎসা বলা হয়।  কোনো ক্ষেত্রে আগে টেইস পরে মাইক্রোওয়েভ প্রয়োগ করা হয়। এসব চিকিৎসা ছাড়াও লিভার ও ফুসফুস ক্যান্সারে বর্তমান প্রচলিত চিকিৎসা কেমো থেরাপি, রেডিও থেরাপি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। যাতে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে যেতে থাকে।

ডা. এল.এস নাহার, চিফ কো-অর্ডিনেটর,

ক্যান্সার টিউমার অ্যাবলেশন সেন্টার, মিরপুর

ঢাকা। ফোন : ০১৭০৮৫২২৫১০

সর্বশেষ খবর