Scabies অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগের নাম স্ক্যাবিস বা খোস পাঁচড়া, যা সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা হয়। মাইট উকুনের মতো ছোট জীবাণু। এটি কোনো যৌনরোগ নয়। কীভাবে ছড়ায় যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, সেহেতু খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়। সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ সহচার্যে থাকলে, একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। ঘনিষ্ঠ সহচার্যে থাকার ফলে মাইট আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে আবার আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়-চোপড় ব্যবহারের মাধ্যমেও রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

রোগ চেনা যায় যেভাবে : ত্বকের ওপর অনেকসোজা অথবা ‘ঝ’ আকারের কালো সুতার মতো ছোট ছোট রেখা দেখতে পাওয়া যায়, এটাকে বারো বলে। এ রেখার শেষভাগে ছোট পানিযুক্ত ছোট দানা থাকে। এ দানাগুলোই মাইটের আবাসস্থল।

আক্রান্ত স্থান : আক্রান্ত স্থানে দানা দেখা যায়। স্থানগুলো হল— হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, কবজিতে, কনুই ও কনুইয়ের সম্মুখ ভাগে, স্তনের বোঁটায়, নাভি, তলপেট এবং যৌনাঙ্গের আশপাশে এবং শরীরের ভাঁজগুলোতে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের তলায় ও গালেও দেখা যায়।

জটিলতা : সময়মতো চিকিৎসা না করালে চামড়া ও কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেয় যেমন— একজিমাটাইজেশন : অর্থাৎ চামড়া কালো ও পুরু হয়ে যায়। ইমপেটিগো দানাগুলো ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে।

চিকিৎসা : খোস পাঁচড়ার জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে, যা নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যবহার করলে খোস পাঁচড়া সেরে যায়। ওষুধগুলো হচ্ছে— ২৫ শতাংশ বেনজাইল বেনজয়েট, পারমিথ্রিন, টেটমোসল। ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি

কাপড়-চোপড় সিদ্ধ করে কাচতে হবে এবং বিছানো তোশক রোদে দিতে হবে। তাই এসব রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিকার নেওয়া উত্তম। অন্যথায় জটিলতা বাড়ে। কারণ প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।

ডা. দিদারুল আহসান, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, আল-রাজি হাসপাতাল, ঢাকা।