সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

প্যালপিটিশন  নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক দুশ্চিন্তা থাকে কি হার্টের বড় অসুখ হলো কিনা? তাই বেশি আগ্রহ সহকারে হার্টের ডাক্তারের কাছে যওয়া, ঘন ঘন ইসিজি করানো নিত্যনৈমিতিক ব্যাপার। মানুষের মধ্যে কম-বেশি মৃত্যুভয় থাকতেই পারে কিন্তু তাই বলে অহেতুক মৃত্যুভীতি স্বাভাবিক নয়। অনেক লোক আছে যারা মৃত্যুভীতির কারণে লাশ, অ্যাম্বুলেন্স, লাশের ছবি, এমনকি লাশ রাখার খাট দেখলে একদমই সহ্য করতে পারে না, ভেতরে কেঁপে ওঠে, অস্থির হয়ে ওঠে দম আটকে যায়, মনে হয় এখনই দম বের হয়ে যাবে। এ কারণে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলাফেরার ব্যাঘাত ঘটে, এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত দেখতে পারে না। সুমনের বয়স ২৫ বছর। তার হঠাৎ বুক ধড়ফড় করা শুরু হয়। নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় তখন। এর সঙ্গে যোগ হয় হাত-পা অবশ হয়ে আসা, বুকে ব্যথা করা। ক্রমশ তার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল। মনে হয় এখনই মরে যাবে। এ ধরনের রোগীরা একটার পর একটা ইসিজি আর ইকোকার্ডিওগ্রাম করতে করতে তার চিকিৎসা ফাইল অনেক বড় করে ফেলেন। ডাক্তারও বদলাতে থাকেন তার রোগ ধরতে পারছে না বিধায়। এর মধ্যে রোগীর গায়ে কিন্তু বড় অসুখের সিল পড়ে গেছে। আর আত্মীয়স্বজনরা বলতে থাকে ওকে কোনো বড় কাজে দিও না। ওর বড় জটিল অসুখ। আসলে এটি টেনশন বা অস্থিরতা রোগ যাকে প্যানিক ডিজঅর্ডার বলে থাকি। যা টেনশনজনিত অসুখ।

ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর