শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কিডনি রোগ : বাড়াতে হবে সচেতনতা

কিডনি রোগ : বাড়াতে হবে সচেতনতা

অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গত বৃহস্পতিবার পালিত হলো বিশ্ব কিডনি দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল Kidneys and women’s health : Include, value, empower. অর্থাৎ সুস্থ কিডনির জন্য নারীদের অংশগ্রহণ মূল্যায়ন ও ক্ষমতায়ন। বিশ্ব জনগোষ্ঠীর প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ নারী। এই নারীদের সুস্থ স্বাস্থ্য ধারণ করা শুধু তাদের জন্য নয়, তাদের সন্তানদের, পরিবারের অন্য সদস্য ও সর্বোপরি সমাজের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। নারীদের কিডনি রোগের জন্য প্রজনন ক্ষমতা ব্যাহত হয়, কার্যক্ষমতা লোপ পায় এবং পরিবারের সন্তানদের দেখাশোনা ও পরিচর্যা বাধাগ্রস্ত হয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ধীরগতিতে কিডনি অকেজো প্রাথমিক স্তরেও মহিলা রোগীদের শিশুদের শারীরিক উন্নতির ঘাটতি হয়। সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, নারীদের কিডনি অকেজো রোগের সংখ্যা ৬০ বছরের পর পুরুষদের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ৬০ বছরের পরে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। কারণ ৬০ বছরের পর নারীদের মেনোপজের জন্য ইসটোজেন নামক হরমোন কমে যায় বা থাকে না। এ বয়সের মহিলারা ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। মহিলাদের শারীরিক গঠনও কিডনি রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। নারীদের প্রস্রাবের প্রদাহ পুরুষদের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। যার কারণ মহিলাদের মূত্রথলির পরে প্রস্রাবের রাস্তা ছেলেদের চেয়ে অনেক ছোট। উল্লেখ থাকে, প্রস্রাবের প্রদাহের জীবাণু পায়ুনালি থেকে প্রস্রাবের রাস্তায় প্রবেশ করে। এ ছাড়াও মহিলাদের প্রস্রাবকালীন জটিলতার জন্য হঠাৎ কিডনি অকেজো ও ধীরগতিতে কিডনি অকেজো পুরুষদের তুলনায় বেশি। নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ মহিলার হঠাৎ কিডনি অকেজোর কারণ হচ্ছে প্রসবজনিত জটিলতা, শুধু তাই নয় শতকরা ৮ ভাগ মহিলা ও শিশু এ কারণে মৃত্যুবরণ করে। তাই কিডনি রোগের সচেতনতা বাড়াতে হবে বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। কারণ প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম। অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সাবেক পরিচালক, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর