শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

অবাঞ্ছিত লোম

অনেক সময় মেয়েদের পুরুষের মতো দাড়ি-গোঁফ দেখা যায়, যার কারণে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। অল্প পরিমাণে মেয়েদের দাড়ি-গোঁফ গজালে তেমন কোন সমস্যা নেই। কারও যদি ঘন কালো লোম ঠোঁটের উপরি ভাগে, গালে, চিবুকে, বুকে, স্তনে, তলপেটে, বা  নিতম্বে থাকে এবং গলার স্বরের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অবাঞ্ছিত লোমের কারণ হরমোনের ভারসাম্য-হীনতাই মূলত এর জন্য দায়ী। প্রত্যেক নারী ও পুরুষের শরীরে টেসটোসটেরন নামক এক ধরনের হরমোন রয়েছে। এই টেসটোসটেরন হরমোনকে  পুরুষ হরমোন বলা হয়। পুরুষের পাশাপাশি মেয়েদের শরীরেও এ টেসটোসটেরন হরমোন অল্প পরিমাণে থাকে। কিন্তু মেয়েদের শরীরে কোনো কারণে এ হরমোনের পরিমাণ  বেড়ে গেলে মেয়েদের শরীরেও পুরুষের মতো অধিক লোম গজাতে পারে।

চিকিৎসা : প্রথমে রোগের ইতিহাস ভালোভাবে জেনে নিতে হবে কি কারণে লোম গজাচ্ছে । কিছু রক্ত পরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাফী পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ জেনে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এছাড়া ওষুধ  অথবা ফিজিকেল থেরাপি : যেমন ইলেক্ট্রোলাইসিস / লেজার থেরাপির মাধ্যমে লোম দূর করা যায়। যদি দেখা যায়  অতিরিক্ত অ্যান্ডজেন হরমোনের  কারণে হচ্ছে তখন সঠিক মাত্রায়  স্পাইরোনোল্যাকটোন অথবা সিপ্রটেরন এসিটোনাইড জাতীয় ওষুধ তিন থেকে ছয় মাস সেবন করা। ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমেও স্থায়ীভাবে নির্মূল করা সম্ভব। আর লেসার থেরাপিতে মাসে এক বার করে চার থেকে ছয় বার চিকিৎসা নিতে হয়।

ডা. তুষার সিকদার

সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

ফোন : ০১৮১৬৮৫৭৪৬২

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর