শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন : খোস পাঁচড়ায় করণীয়

প্রেসক্রিপশন : খোস পাঁচড়ায় করণীয়

অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগের নাম স্ক্যাবিস বা খোস পাঁচড়া, যা সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইট দ্বারা হয়। মাইট উকুনের মতো ছোট জীবাণু। এটি কোনো যৌনরোগ নয়। যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, সেহেতু খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়। সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকলে, একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকার ফলে মাইট আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে আবার আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়-চোপড় ব্যবহারের মাধ্যমেও রোগ ছড়িয়ে পড়ে। কারণ মাইট শরীরের বাইরে অর্থাৎ কাপড়-চোপড়, কাঁথা-বালিশ, আসবাবপত্রে দুই-তিন দিন বেঁচে থাকতে পারে। ত্বকের ওপর অনেক সোজা অথবা ‘ঝ’ আকারের কালো সুতার মতো ছোট ছোট রেখা দেখতে পাওয়া যায়, এটাকে বারো বলে। এ রেখার শেষভাগে ছোট দানা অথবা পানিযুক্ত ছোট দানা থাকে। প্রকৃত পক্ষে এ দানাগুলোই এসব মাইটদের আবাসস্থল। এখানে ডিম পাড়ে।

উপসর্গ : এ রোগের বিশেষ এবং প্রধান উপসর্গ হলো সারা শরীর চুলকানো। এ চুলকানি বিশেষত রাতের বেলায় বেশি হয়। রাতের বেলা বিছানার গরমের জন্য মাইটগুলো চামড়ার নিচে চলাচল করতে শুরু করে, ফলে রাতের বেলা বেশি চুলকানি অনুভূত হয় এবং বিরক্তি লাগে।

জটিলতা : সময়মতো চিকিৎসা না করালে চামড়া ও কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন— একজিমাটাইজেশন : অর্থাৎ চামড়া কালো ও পুরু হয়ে যায়। ইমপেটিগো দানাগুলো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে।

প্রতিকার : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ পরিহার করা। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা করতে হবে। বিছানো তোশক রোদে দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, রোগীকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তাই এসব ক্ষেত্রে অবহেলা করা ঠিক নয়। প্রাথমিক অবস্থা থেকেই চিকিৎসা নেওয়া উত্তম। অন্যথায় একটা পর্যায় জটিলতা বাড়ে। প্রতিরোধ নয় প্রতিকার নেওয়া ভালো।

ডা. দিদারুল আহসান, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ

আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর