বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
জেনে রাখা ভালো

ধমনিতে রক্ত জমলে

করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বহু মানুষ এ রোগে মারা যাচ্ছেন। একদিকে বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা, অন্যদিকে কমছে আক্রান্তদের বয়স। করোনারি আর্টারি ডিজিজ এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত ব্যাধি। হৃদযন্ত্রে শত সহস্র ধমনী রয়েছে। তিনটি প্রধান ধমনী ১০টি শাখায় সজ্জিত, যেখান থেকে ১০০টি প্রশাখা ছড়িয়ে পড়েছে। আবার রয়েছে এর হাজারো প্রশাখা। এগুলোকে বলা হয় ক্যাপিলারিস। অনেকটা জালের মতো এগুলোর ভিতর আন্তঃসম্বন্ধ রয়েছে; আবার প্রতিটিই অপরটির সঙ্গে রক্ত গ্রহণ ও প্রদানের সম্পর্কে সম্পর্কযুক্ত। একটি প্রধান বা অপ্রধান ধমনীতে ব্লক সৃষ্টি হলে ওই শত-সহস্র রক্তনালি হৃৎপিণ্ডের পেশিতে রক্ত সঞ্চালনে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে পারে। যদি কোনো উপায়ে রক্তনালিগুচ্ছের চ্যানেলটি মুক্ত ও বিস্তৃত রাখা যায় তাহলে হৃদযন্ত্রের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সংহত থাকে। এটাকেই বলা হয় প্রাকৃতিক বাইপাস বা ইসিপি থেরাপি। এটা চালু রাখার জন্য যে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় তাকে বলা হয় প্যান বাইপাস বা Pneumatically Assisted Natural Bypass। এ প্রাকৃতিক চ্যানেলটি  অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে সাধারণত উপস্থিত থাকে। যেহেতু তাদের প্রচুর ব্যায়াম করা লাগে পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই। তাই তাদের বেলায় ক্যাপিলারিস পরিণত হয় বর্ধিত টিউবে। এ টিউবের কারণেই শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ব্লকেজ দেখা দিলেও এরা বুক-ব্যথা বা এনজিনায় ভোগেন না। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে এ প্রাকৃতিক বাইপাস চ্যানেল সৃষ্টি করা যায়। বিজ্ঞানীরা এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যেটা সমান্তরাল রক্ত-চ্যানেল সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এ যন্ত্রটির নাম ইসিপি। মেশিনটি কৃত্রিমভাবে ধমনীতে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। মেশিনের এক ঘণ্টার সহায়তায় সমান্তরাল আর্টারি/ ক্যাপিলারি সিস্টেম চালু করে দেয় এবং হৃৎপিণ্ডের পেশিতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালন শুরু করে। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগে না।

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

হলিস্টিক হেলথ কেয়ার  সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর