শিশুরা চঞ্চল হবে এটাই স্বাভাবিক। শিশুরা দৌড়াবে, শব্দ করবে, বাঁশি বাজাবে, হৈচৈ করবে- এটা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এই চঞ্চলতার কারণে যদি শিশুর শিক্ষাজীবন ব্যাঘাত ঘটে, পরিবারের অন্য সদস্যরা বিরক্তবোধ করে প্রশ্ন আসতে পারে শিশুটি কি স্বাভাবিক না অসুস্থ। এটা মন ও ব্রেইনের অসুখ। ছয়-সাত বছরের আগেই শুরু হয়ে থাকে। ছেলে-মেয়ে সবারই হতে পারে।
অতিরিক্ত চঞ্চল : খুব ছোটাছুটি করা, অনেক শিশুকে দেখা যায় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে দিগি্বদিক ছোটাছুটি করছে, লাফালাফি করছে। এটা ভাঙছে, ওটা ভাঙছে এক জায়গায় স্থির থাকে না, ক্লাসে বসে থাকে না, এক কথায় একদম স্থির থাকতে চায় না। মনোযোগের অভাব : শিশুরা যখন লেখাপড়া করতে বসে, টিভি দেখতে বসে, খেলাধুলা করতে যায় তখন মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। যেসব জায়গায় মনোযোগের বেশি দরকার বিশেষ করে
ক্লাসে, পাঠ্যসূচি তৈরি করতে, কোথাও লাইনে দাঁড়াতে- এসব জায়গায় এই ধরনের বাচ্চারা খুবই অধৈর্য হয়ে পড়ে যা অন্য বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় না। তখন কিন্তু বাবা-মার সতর্ক হওয়া উচিত শিশুর মধ্যে কোনো সমস্যা আছে কিনা? দেখা যায় হঠাৎ করে কিছু করে ফেলছে, ভেঙে ফেলেছে। যেমন : গরম কিছুতে হাত, বৈদ্যুতিক সুইচে হাত অথবা এমন কিছু করে ফেলল যার পরিণতি পারে না।ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ঢাকা।