খাবার তৈরিতে এবং খাবার শেষে দই নানা কারণে উপকারী। বিশেষ করে ঈদুল আজহায় খাবারের অন্যতম অনুষঙ্গ হতে পারে দই। কারণ এই দইয়ের রয়েছে বেশ কয়েকটি গুণ। সম্প্রতি আলোচিত প্রোবায়োটিক্সের মধ্যে দই অন্যতম। প্রোবায়োটিক্স হচ্ছে এক ধরনের জীবিত জীবাণু, যা পরিমিত মাত্রায় শরীরের অনেক উপকার করে। দইয়ের মধ্যে থাকে সেরকম একটি প্রোবায়োটিক্স। যার নাম ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া বা সংক্ষেপে ল্যাব। এই ল্যাব কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
হজমে দই : ‘মিট টেন্ডারাইজার’ হিসেবে দই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।
এ কারণে মাংস মেরিনেট করতে দইয়ের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে : মাংসের কোলেস্টেরল যাতে শরীরে শোষিত হতে না পারে সে কাজটিও করে দই। দইয়ের ‘ল্যাব’ চর্বি হজমকারী পিত্তরসকে খাদ্যনালিতে ভেঙে অন্য উপাদানে রূপান্তরিত করে ফেলে। ফলে চর্বি হজম হতে না পেরে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য : কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে দই উপকারী। যারা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা মেদাধিক্যে ভুগছেন তাদের বেলায়ও খাবারের পর দই- বোরহানি উপকারী।