কোনো প্রাণী বা জন্তুর কামড়ে, সামান্য আঁচড় থেকে শুরু করে গভীর ক্ষত পর্যন্ত হতে পারে। পোষা প্রাণী, বেওয়ারিশ কুকুর, কিংবা বিড়াল যে কোনো সময় যে কাউকে কামড় দিতে পারে। একটি শিশুকে যখন কোনো প্রাণী কামড় দেয় তখন প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো ক্ষতস্থানে সংক্রমণের ঝুঁকি এবং জীবন আশঙ্কাজনক রোগ র্যাবিস বা জলাতঙ্কের সম্ভাবনা। বুনো প্রাণী কামড়ালে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।
কী জানবেন : যদি আপনার শিশুকে কোনো প্রাণী কামড়ায় তাহলে নিচের বিষয়গুলো আপনাকে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে, কোন ধরনের প্রাণী কামড় দিয়েছে- পোষা, বেওয়ারিশ নাকি বুনো, উসকানোর ফলে নাকি বিনা উসকানিতে আক্রমণ করেছে, হালনাগাদ প্রাণীর প্রতিষেধক দেওয়া আছে, প্রাণীটিকে কি চিহ্নিত অথবা আটক করা গেছে, কী করবেন, যদি আপনার শিশুকে কোনো কিছুতে কামড়ায়, তাত্ক্ষণিক কামড়ানোর স্থানটি অনেকক্ষণ ধরে সাবান ও পানি দিয়ে ধোবেন। ক্ষতস্থান ড্রেসিং দিয়ে ঢেকে দেবেন। শিশুকে স্বস্তি দেবেন। যদি আপনার শিশুকে পোষা কুকুর বা বিড়াল কামড়ায়, জেনে নিন প্রাণীর হালনাগাদ প্রতিষেধক দেওয়া আছে কিনা। প্রাণীর ওপর লক্ষ্য রাখুন। পরবর্তী দু’সপ্তাহ লক্ষ্য রাখুন তার জলাতঙ্ক হয় কিনা।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন : প্রাণীর কামড় সাধারণ আঁচড়ের চেয়ে বেশি হয়। শিশুর হালনাগাদ টিটেনাস বা ধনুষ্টঙ্কার প্রতিষেধক নেওয়া না থাকে অথবা শেষ বুস্টার ডোজের পরে পাঁচ বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়। প্রাণীর প্রতিষেধক দেওয়া না থাকে অথবা প্রতিষেধক বর্তমান সময় পর্যন্ত কার্যকর না থাকে।