রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

মধ্যকর্ণের প্রদাহ কানপাকা

মধ্যকর্ণের প্রদাহ কানপাকা

কানপাকা রোগ হচ্ছে মধ্যকর্ণের প্রদাহ। কানের ডাক্তাররা বলবেন, তারা রোগটিকে চেনেন কানের পর্দার অবস্থা দেখে। কান পাকলে কানের পর্দায় একটা স্থায়ী অসামঞ্জস্য তৈরি হয়, খুব সম্ভবত ইতিপূর্বে সংঘটিত মধ্যকর্ণের আকস্মিক প্রদাহের কারণে। অথবা মধ্যকর্ণের ঋণাত্মক বায়ুচাপের কারণে। অথবা সেখানে পানি জমে থাকার কারণে। তারা এ রোগকে ডাকেন সিওএম অর্থাৎ ক্রনিক অটাইটিস মিডিয়া। জনসমাজে রোগটির ব্যাপকতা কেমন? সক্রিয় এবং অপেক্ষাকৃত নিরুপদ্রব এ দুই ধরনের মিলিয়ে ৪.১ শতাংশ লোক এ রোগে ভোগে। এর মধ্যে ৩.১ শতাংশ রোগীর দুই কানে এবং অন্যদের এক কানে। বাংলাদেশে এই হার ৫-৬ শতাংশ। ১৮ থেকে ৪০ বছরের তুলনায় ৪১ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের ঝুঁকি দ্বিগুণ।

সিওএম কাদের হয় : মূলত বংশগত ও জাতিগত কারণে সিওএম হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, আদিবাসীরা বেশি আক্রান্ত হয়। আবার একই দেশের আদিবাসীদের বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে তারতম্যও দেখা যায়। উন্নয়নশীল দেশে রোগটির হার বেশি হলেও একেক দেশে একেক রকম। অন্যদিকে এ রোগের জন্য পরিবেশ যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

কোন জীবাণু দায়ী : প্রোটিয়াস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, সিউডোমনাস, কোলিফর্ম ব্যাসিলাই, কোরিন ব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি, এসকেরিয়সিয়া কোলাই, স্ট্রেপটোকক্কাস ফিকালিস এ রোগের জন্য দায়ী। তাই এ রকম উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উত্তম।

অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি, স্যার

সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর