মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বুকে টিউমারের উপসর্গ

অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ

বুকে টিউমারের উপসর্গ

বুকের মধ্যে টিউমার নানা স্থানে হতে পারে। যেমন- ব্রংকাস, ফুসফুস, দুটি ফুসফুসের মাঝের অংশ বা মিডিয়াষ্টিনাম প্রভৃতি স্থানে ফুসফুসের বা শ্বাসতন্ত্রের ক্যান্সার প্রত্যক্ষভাবে হয়। আবার কখনো কখনো

স্তন, কিডনি, জরায়ু, ওভারি, টেসটিস, থাইরয়েড প্রভৃতির ক্যান্সার থেকে ফুসফুসে ছড়িয়ে আসতে পারে।

ব্রংকাসের ক্যান্সার : ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্র হিসেবে দেখা গেছে যে, ব্রংকাসের ক্যান্সার শতকরা ৪০ ভাগ পুরুষের হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি কম হয়। পুরুষের প্রায় পাঁচ ভাগের একভাগ পরিমাণ শ্বাসনালীর ক্যান্সার হতে পার মহিলাদের ক্ষেত্রে। এটি আবার ৪৫ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে বেশি হতে দেখা যায়। শ্বাসনালীর ক্যান্সারের একটি প্রধান কারন ধূমপান করা এবং যে যত বেশি সিগারেট খান তার তত বেশি এই রোগ হবার প্রবণতা ও সম্ভাবনা থাকে।

জটিল উপসর্গ : ফুসফুস থেকে দেহের বিভিন্ন স্থানে এইভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠিকমত সার্জিক্যাল চিকিৎসা প্রভৃতি দ্রুত না হলে এক বছরের বা তার কম সময়ের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়ে থাকে।

লক্ষণ : প্রথম আক্রমণকালে রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়। কাশি হলো একটি সাধারন লক্ষন। এছাড়া অন্য লক্ষণ বিশেষ বোঝা যায় না। * জীবাণু সংক্রমণের পরিমাপের ওপর কফের চরিত্র নির্ভর করে।

* তারপর সামান্য রক্ত উঠতে দেখা যায় কফের সঙ্গে। * ফুসফুসের কোন খণ্ডে কোলাপস হলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির ভাব প্রভৃতি প্রকাশ পায়। অনেক সময় রোগী ক্রণিক ব্রংকাইটিসে আগে থেকে ভুগলে এটি দেরিতে দেখা যায়। * অনেক সময় নিউমোনিয়ার লক্ষণ এবং ফুসফুসের পর্দা বা প্লুরাতে ব্যথা অনুভব করা যেতে পারে। * প্লুরাতে টিউমারের আক্রমণ ঘটলে প্লুরার এই পর্দায় পানি জমে এবং তার সঙ্গে প্রচুর রক্ত মিশ্রিত থাকে। * অনেক সময় পরবর্তীকালে হাতেও ব্যথা দেখা দেয়। কারণ, ইন্টারকোষ্টাল নার্ভ বা স্নায়ু এবং ব্র্যাকিয়াল প্লেক্সাস আক্রান্ত হয় বলে এটি হয়। অনেক সময় কোন কোন বুকের হাড় নষ্ট হতে পারে এ থেকে। * পরবর্তীকালে রোগ বাড়লে রোগীর মনের পরিবর্তন, প্রস্রাবে রক্ত, চর্মে নডিউল দেখা দিতে পারে। এছাড়া কখনো কখনো

স্নায়ু আক্রান্ত হয়ে দেহের নানা স্থানের স্নায়ুবিক অক্ষমতা ও তার জন্য বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

বুকের চিহ্ন :  প্রথম অবস্থায় বুকে কোন লক্ষণ দেখা বা বোঝা যায় না। এটি ব্রংকাইটিস বলে মনে হতে পারে। * ব্রংকাসে বাধার সৃষ্টি হলে তখন পালমোনারী কোলান্স-এর লক্ষণাদি চোখে পড়ে। * টিউমার বড় হলে তখন প্লুরাল ইফিউশন দেখা দেয়। * প্লুরাতে ছড়িয়ে পড়লে শুকনা অথবা ইফিউশনযুক্ত প্লুরিসি দেখা যায়।

লেখক : বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইকবাল চেস্ট সেন্টার, মগবাজার ওয়্যারলেস, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর