নবজাতক থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সে ত্বকে র্যাশ বা লালচে ফুসকুড়ি উঠতে পারে। পোড়া ত্বকেও র্যাশ হতে পারে। যে সব কারণে শরীরে র্যাশ হতে পারে—
খাবারে অ্যালার্জি : এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ। এতে ত্বক লালচে হয়ে চুলকাতে পারে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত এই নির্দিষ্ট খাবার না খেয়ে দেখতে হবে ত্বকে র্যাশ ওঠে কিনা। কখনও কখনও খাবারে অ্যালার্জি থেকে মারাত্মক অ্যানাফাইলেকটিক রিঅ্যাকশন হতে পারে। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ওষুধজনিত অ্যালার্জি : যে কোনো ওষুধ থেকেও এ সমস্যা হতে পারে। একে ড্রাগ ইরাপশনস বলে। ওষুধ বন্ধ রেখে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।অটোইমিউন ডিজিজ : দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন বিপাক ক্রিয়ার বিপরীতে কাজ করে তখন তাকে অটোইমিউন ডিজিজ বলে। সোরিয়াসিস এমন এক অসুখ যখন ত্বকে র্যাশ ওঠে। নাকের দুই পাশে প্রজাপতি আকৃতির লালচে র্যাশ এসএলই রোগের লক্ষণ।
ইনফেকশন : ভাইরাস সংক্রমণ যেমন চিকেন পক্স থেকে র্যাশ হয়। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণ থেকে অসুস্থতা আরও জটিল হয়।
অধিক তাপমাত্রা : এ সময় ঘাম ত্বকের লোমকূপ থেকে বের হতে পারে না ফলে র্যাশ ওঠে।
মানসিক চাপ : এর ফলে দেহের ভেতরে বিভিন্ন রাসায়নিক পরিবর্তন ও র্যাশ ওঠে। মেডিটেশন ও উপযুক্ত ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে এ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
স্পর্শকাতর ত্বক : সাবান, কসমেটিকস, পানি থেকে অ্যালার্জির কারণে র্যাশ উঠতে পারে।
ডা. দিদারুল আহসান, ত্বক ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, আল রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।