আমাদের খাদ্যের প্রধান উপাদান শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, চিনি, গুড় এবং এসব উপাদান থেকে প্রস্তুত খাদ্যবস্তুকে শর্করাজাতীয় খাবারের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ ভাত, রুটি, হালুয়া, পায়েস, ফিরনি, চিড়া, মুড়ি, খৈ, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পপকর্ন, সিঙ্গারা, সমুচা, পিঠা, চিপস ও সফ্ট ড্রিংক, বোতলজাত ফ্রুট জুস, চটপটি, হালিম, তন্দুর রুটি, নানরুটি, আলু ভর্তা, পুড়ি, নুডুলস, পাস্তা ইত্যাদি শর্করাজাতীয় খাদ্যবস্তু বলা যেতে পারে। শর্করাজাতীয় খাদ্য যেহেতু শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত, তাই যেসব ব্যক্তি শক্তি ব্যয় করে কাজ করে বা কায়িক শ্রম সম্পাদন করে, তাদের বেশি পরিমাণে শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। কুলি, মজুর, রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানচালক, খেলোয়াড়, কল-কারখানার শ্রমিক, উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের শক্তিদায়ক খাদ্যের প্রয়োজন হওয়ায় তাদের বেশি শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে তারা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবে না। যারা উল্লিখিত পেশার সঙ্গে সংযুক্ত নন যেমন অফিসে কাজ করে এমন ব্যক্তি, শিক্ষক, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, গাড়িচালক, গৃহিণী এদের বেলায় শর্করাজাতীয় খাদ্যে চাহিদা খুবই কম।