বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ

অক্টোবর মাস হচ্ছে ক্যান্সার সচেতনতা মাস। তাই, কোলন ক্যান্সার সম্বন্ধে জানা জরুরি। কোলন অর্থাৎ বৃহদন্ত্রে ক্যান্সার একটি সাধারণ ক্যান্সার। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পরিসংখ্যান মতে, এটি নারী ও পুরুষের ক্যান্সার মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দ্রুত তা বাংলাদেশেও অন্যতম মৃত্যুঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে।

লক্ষণ : কোলন ক্যান্সার সাধারণত ৪০ ঊর্ধ্বদেরই হয়। রোগীদের সাধারণত পেটব্যথা, ক্ষুধামন্দা, পেট ফাঁপা ফাঁপা লাগা, ওজন কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি। কালো পায়খানা হতে পারে বা মলের সঙ্গে রক্ত-আম মিশ্রিত পায়খানা হতে পারে। মলত্যাগের পরও মনে হতে পারে ভালোভাবে মলত্যাগ হয়নি, আবার টয়লেটে যেতে হবে। এ ছাড়া রোগ ছড়িয়ে পড়লে আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। কোলন ক্যান্সার নির্ণয়ের সর্বোত্তম পরীক্ষা হচ্ছে কোলনস্কোপি। বর্তমানে সহজেই কোলনস্কপি করা যায়। রেকটাম অর্থাৎ কোলনের নিচের অংশে টিউমার হলে কোলনস্কোপির প্রয়োজন হয় না। এ ব্যাপারে সিগময়ডোস্কোপি নামক অপেক্ষাকৃত সহজ পরীক্ষা করা যায়। কোলনস্কোপি বা সিগময়ডস্কোপির মাধ্যমে সরাসরি টিউমার দেখা যায়। সেখান থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায় ক্যান্সার কিনা। তারপর অন্যান্য পরীক্ষার মাধমে নির্ণয় করা হয় চিকিৎসার ধরন। কোলন ক্যান্সার ভালো হওয়ার একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন। অপারেশনের মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ এবং এর আশপাশ ফেলে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে ক্যান্সারের অবস্থা ভেদে যুক্ত করা হয় কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি। ডাক্তার কোনো রোগীকে ক্যান্সারে আক্রান্ত বললে সবাই মনে করেন হয়তো সব শেষ হয়ে গেল। বাস্তবে তা নয়। বর্তমানে কোলন ক্যান্সারের খুব ভালো চিকিৎসা আছে। চিকিৎসায় শত শত রোগী বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে একটি শর্ত হচ্ছে, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়। তাই উল্লিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলেই অবহেলা না করে একজন কোলোরেক্টাল সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া উত্তম।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান, কোলোরেক্টাল সার্জন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর