শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

পিএলআইডি কী

কোমর ব্যথার শক্তিশালী কারণ গুলোর অন্যতম হলো পি এল আই ডি বা লাম্বার ইন্টার-ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রল্যাপস। পি এল আই ডি তিন মাত্রার হতে পারে- স্বল্প মাঝারি ও তীব্র।

লক্ষণ : প্রধান লক্ষণ কোমর ব্যথা। ব্যথা কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যেতে পারে।পায়ে ঝিঝি ধরতে পারে বা শিরশিরে অনুভূতি হতে পারে। অনেকে বলে থাকেন পা চাবাচ্ছে। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বাড়ে, রোগী বেশিক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অনেকে শোয়া থেকে ওঠে বসতেই পারেন না। তীব্র পি এল আই ডি এর ক্ষেত্রে ব্যথা ছাড়াও স্নায়ুজনিত লক্ষণ থাকতে পারে।

রোগ নির্ণয় : মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ পাঁচটি কশেরুকা বা ভার্টিব্রা দ্বারা গঠিত। এর নিচে থাকে স্যাক্রাম। এই পাচ কশেরুকা এবং স্যাক্রামের মাঝে তালের শাসের মত স্থিতিস্থাপক চাকতি থাকে। এই চাকতিগুলো মেরুদণ্ডের শক এবজর্বারের ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ এদের ওপর ভর করেই মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ তার কার্যক্রম চালায়। সামনে ঝোঁকা, ডানে বামে বাঁকা হওয়া হাটা শোয়া বসা সহ প্রায় সকল মুভমেন্টেই এই চাকতি গুলিগুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। পি এল আই ডি তে এই চাকতিটি তার অবস্থান থেকে সরে যায় এবং সরে যাওয়া চাকতিটি স্নায়ুর গোড়ায় চাপ প্রয়োগ করে, ফলে কোমরে ব্যথা শুরু হয়। স্নায়ুগুলো যেহেতু কোমর থেকে বের হয়ে পায়ের দিকে চলে গেছে তাই পায়ের দিকেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে কোন স্নায়ুর গোড়াটি

চাপে পড়ল এবং চাপের ধরন ও মাত্রা কেমন। এই ধরনটি নির্ভুলভাবে নির্ণয় করতে এম আর আই করতে হবে।

চিকিৎসা : পি এল আই ডি মানেই অপারেশন নয়। বেশিরভাগ স্বল্প ও মাঝারি মাত্রার পি এল আই ডি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পূর্ণ বিশ্রামে রেখে দিনে তিন চার বার ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করলে তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই পি এল আই ডি জনিত কোমরব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তীব্র মাত্রার পি এল আই ডিতে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে

ডা. মোহাম্মদ আলী, চিফ কনসালট্যান্ট, এইচপিআরসি।

[email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর