যদিও কণ্ঠের গুরুত্ব অনেক তবুও আমরা আসলে কণ্ঠের ব্যাপারে কতটা যত্নবান। সাধারণত আমরা মনে করি পেশাগত কণ্ঠ ব্যবহারকারী যেমন- -গায়ক, অভিনেতা, সংবাদপাঠক, ধারাভাষ্যকার, শিক্ষক, ফেরিওয়ালা, উকিল, অভ্যর্থনাকারী তাদেরই কণ্ঠের যত্ন নিতে হয় ধারণাটি সত্য নয়। মূলত আমাদের সবার কণ্ঠের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া দরকার।
কি কারণে সমস্যা হতে পারে :
১. শ্বাসনালির উপরের অংশের সংক্রমণ। ২. স্বরযন্ত্রের অতিরিক্ত/অপব্যবহার। ৩. স্বরযন্ত্রের টিউমার,পলিপসহকিছু অসুখ। ৪. স্বরযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা।
কখন বুঝবেন কণ্ঠ অসুস্থ :
১. কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, যেমন ফ্যাসফ্যাসে, কর্কশ ইত্যাদি। ২. কণ্ঠস্বর গভীর বা ভারি হওয়া এমনকি কণ্ঠস্বর বন্ধ হয়ে যাওয়া। ৩. কথা বলার সময় বার বার গলা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হওয়া।
প্রয়োজনীয় টিপস : কণ্ঠের যত্নের ব্যাপারে সচেতন হওয়া।
সুস্থ থাকা, পরিমিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ব্যায়াম করা। ধোঁয়া ও দূষণমুক্ত সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশে বসবাস। চা, কফি, কোমল পানীয়, ঝাল ও তেলে ভাজা খাবার কম খাওয়া বা পরিত্যাগ করা। শুষ্ক আবহাওয়া পরিহার করা। প্রয়োজনে বাসা বা অফিসে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র ব্যবহার করা। ৭. জোরে কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করার চেষ্টা না করা।
অধ্যাপক ডা.মনিলাল আইচ লিটু
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল।