শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

শিশুরা চঞ্চল হবে এটাই স্বাভাবিক। শিশুরা দৌড়াবে, শব্দ করবে, বাঁশি বাজাবে হৈচৈ করবে এটা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এ চঞ্চলতার কারণে যদি শিশুর শিক্ষাজীবন ব্যাঘাত ঘটে পরিবারের অন্য সদস্যরা বিরক্তবোধ করে প্রশ্ন আসতে পারে শিশুটি কি স্বাভাবিক না অসুস্থ। তার চিকিৎসার দরকার কিনা, যেখানেই ওই শিশুটিকে নেওয়া হয় সেখানেই অতিরিক্ত চঞ্চলতা করে তখন কিন্তু এ প্রশ্ন হাজারও মায়ের হাজারও বাবার, আসুন আমরা শিশুর চঞ্চলতা নিয়ে আলোচনা করি। শিশুদের মানসিক সমস্যার মধ্যে এডিএসডি একটি অন্যতম। এটা মন ও ব্রেনের অসুখ। সাধারণত ছয়-সাত বছরের আগেই শুরু হয়ে থাকে। ছেলেমেয়ে সবারই হতে পারে, তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে প্রায় চারগুণ বেশি হয়।

লক্ষণসমূহ : বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে পারে। নিচের লক্ষণসমূহ সচরাচর বেশি দেখা যায়। খুব ছোটাছুটি করা, অনেক শিশুকে দেখা যায় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে দিক-বিদিক ছোটাছুটি ও লাফালাফি করছে। এটা ভাঙছে, ওটা ভাঙছে, এক জায়গায় স্থির থাকে না, ক্লাসে বসে থাকে না, এক কথায় একদম স্থির থাকতে চায় না। এছাড়া শিশুরা যখন লেখাপড়া করতে বসে, টিভি দেখতে বসে, খেলাধুলা করতে যায় তখন মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। যেসব জায়গাতে মনোযোগের বেশি দরকার বিশেষ করে ক্লাসে, পাঠ্যসূচি তৈরি করতে, কোথাও লাইনে দাঁড়াতে, এসব জায়গাতে এ ধরনের বাচ্চারা খুবই অধৈর্য হয়ে পড়ে যা অন্য বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় না। তখন কিন্তু বাবা-মার সতর্ক হওয়া উচিত শিশুর মধ্যে কোনো সমস্যা আছে কিনা? এমনকি অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে কিছু করে ফেলছে, ভেঙে ফেলেছে, যেমন- গরম কিছুতে হাত দিয়ে ফেলা, বৈদ্যুতিক সুইচে হাত দিয়ে ফেলল অথবা এমন কিছু করে ফেলল যার পরিণতি সে বুঝতে পারে না। অন্যদিকে অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে অবাধ্যতা, লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটানো, মুরব্বিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, অল্পতে ক্ষেপা ইত্যাদি। 

ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর