সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

এ সময়ের ত্বকের যত্ন

এ সময়ের ত্বকের যত্ন

আবহাওয়ায় শুরু হয়েছে ঋতু পরিবর্তনের খেলা। পাওয়া যাচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এখন থেকেই শীতের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে এ সময়ে ত্বকের যত্নে আরও সচেতন হতে হবে। কারণ শীতের প্রাক্কালে  বাতাসের আর্দ্রতা কমতে থাকে। ; ফলে বায়ুমণ্ডল ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়। এই শুষে নেওয়ার কারণে ত্বক, ঠোঁট ও পায়ের তালু ফেটে যেতে থাকে। আমাদের দেহের ৫৬ শতাংশই হলো পানি। আর এর মধ্যে ত্বক নিজেই ধারণ করে ১০ ভাগ। ফলে ত্বক থেকে পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক দুর্বল আর অসহায় হয়ে পড়ে। ত্বকের যেসব গ্রন্থি থেকে তেল আর পানি বের হয়ে থাকে, তা আর আগের মতো ঘর্ম বা তেল কোনোটাই তৈরি করতে পারে না। এতে ত্বক আরও শুকিয়ে যেতে থাকে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, ত্বকে থাকে ধর্মগ্রন্থি, থাকে তেলগ্রন্থি যেখান থেকে অনবরত তেল আর ঘাম বের হতে থাকে। এ ঘাম আর তেল মিলে দেহের ওপর তেল আর পানির মিশ্রণ বা আবরণী তৈরি করে যা দেহকে শীতল রাখে এবং ফাটা ভাব প্রতিরোধ করে।

ঠোঁটের যত্ন : শীত এলে ত্বক ছাড়াও সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ঠোঁট নিয়ে। কম-বেশি সবারই ঠোঁট ফাটে। সেক্ষেত্রে তৈলাক্ত প্রলেপ ঠোঁটে ব্যবহার করলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এক্ষেত্রে ভেসলিন, লিপজেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে ঠোঁট ভালো রাখা যায়। মনে রাখতে হবে, জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো কখনো উচিত নয়। এতে ঠোঁট ফাটা আরও বেড়ে যেতে পারে।

পায়ের যত্নে করণীয় : একশ্রেণির লোকের শীত এলেই পা ফাটার প্রবণতা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এক্রোফ্লেভিন দ্রবণে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর পা শুকিয়ে যাওয়ামাত্র ভেসলিন মেখে দিন। এছাড়াও গ্লিসারিন ও পানির দ্রবণ পায়ে মাখলে পায়ের ফাটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। পায়ের ফাটা কম হলে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল ব্যবহারেও ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে এখন বাজারে অনেক রকমের ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। এটা আসলে তেল আর পানির একটা মিশ্রণ। এতে থাকে ত্বক কোমলকারী পদার্থ যেমন— পেট্রোলিয়াম, ভেজিটেবল অয়েল, ল্যানোলিন ইত্যাদি।

জন্মগত রোগ ইকথায়োসিস : শীতকালে বাড়ে এমন একটি রোগ হচ্ছে ইকথায়োসিস। ইকথায়োসিস আবার বিভিন্ন ধরনের আছে। তাই এ সময় যত্নবান হতে হবে।

ডা. দিদারুল আহসান, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ, আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর