মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফলিক এসিডের ভালো-মন্দ

ফলিক এসিডের ভালো-মন্দ

ফলিক এসিড হৃদরোগ, বিষণ্নতা ও ডাইমেনসিয়া প্রতিরোধ করে, গর্ভজাত সন্তানের অঙ্গহানি রোধ করে।

ফলিক এসিড এক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। যাকে ভিটামিন ই-৯ বলা হয়। ফলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বলে চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের মতো শরীরে মজুদ থাকার সুযোগ নেই। ফলিক এসিডকে ফোলেট নামেও অভিহিত করা হয়। সবুজ শাকসবজি, টক ফল ও ডাল জাতীয় খাবারে ফলিক এসিড প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। বিপুলসংখ্যক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন ই-৬ ও ই-১২ এর অভাবে শরীরে হোমোসিসটিন নামক এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ মজুদ হতে থাকে। মানবদেহে হোমোসিসটিনের আধিক্য হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। রক্তনালির নমনীয়তা কমায়, যার ফলে রক্ত প্রবাহের বিঘ্ন ঘটার মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমা হওয়াকে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়। রক্তে হোমোসিসটিনের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বৃদ্ধির যোগসূত্র বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড গ্রহণের মাধ্যমে হোমোসিসটিনের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং পরিমিত মাত্রায় ফলিক এসিড গ্রহণের মাধ্যমে রক্তে হোমোসিসটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এসব প্রবণতা বৃদ্ধিকে রোহিত করা যায়, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। মাতৃগর্ভে ৩০ দিন বয়সে শিশুর স্নায়ুতন্ত্র সুসংগঠিত হয়ে থাকে। এ সময় মায়ের শরীরে ফলিক এসিডের ঘাটতি থাকলে শিশুর স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্ক গঠনে বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার : সবুজ পাতা সমৃদ্ধ খাবার যেমন- পুঁইশাক, পাটশাক, মুলাশাক, সরিষা শাক, পেঁপে, লেবু, ব্রকলি, মটরশুঁটি, শিম, বরবটি, বাঁধাকপি, গাজর  ইত্যাদি। আম, জাম, লিচু, কমলা, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। মসুর, মুগ, মাষকালাই, বুটের ডাল ইত্যাদিতে ফলিক এসিড প্রচুর বিদ্যমান থাকে।

ডা. এম শমশের আলী (কার্ডিওলজিস্ট)

সিনিয়র কনসালটেন্ট (প্রা.), ঢাকা মেডিকেল

কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর