সঠিক খাদ্যাভ্যাস আর পরিমিত ঘুম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে মাত্রাতিরিক্ত অবসাদ কাজ করে যা কাটানোর জন্য কেউ কেউ চা-কফির আশ্রয় নেয় অথবা junk food এর। যা ওজন কমানোর পরিপন্থী। এক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে হঠাৎ বেশি খাওয়া হয়ে যায়। আগের রাত জেগে থাকলেও রাতে ক্ষুধার মাত্রা বেড়ে যায়। অন্যদিকে, ঘুম বেশি হলেও আমাদের fat deposition এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং metabolism এর হারও কমে আশে। পরোক্ষভাবে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি করে মাত্রাতিরিক্ত হারে। ঘুমের পরিমাণও প্রতিটি মানুষের আলাদা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনন্দিন কাজের ধারা যদি স্বল্প পরিশ্রমের হয় সেক্ষেত্রে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমই তার জন্য যথেষ্ট। আর যদি তার কাজের তালিকায় মাঝারি শ্রেণির ভারী কাজ থাকে তাহলে গড়ে আট ঘণ্টার বেশি ঘুমের প্রয়োজন নেই। যে কোনো বয়সে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে থেকে যে কোনো খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যথায় হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই ঘুম নিয়ে আমাদের অবহেলা করা ঠিক নয়।
চৌধুরী তাসনীম হাসিনচিফ ডায়েটিশিয়ান, ইউনাইটেড হসপিটাল, ঢাকা।