বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুরুষের  পুরুষত্বহীনতা একটি অস্বস্তিকর ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এতে নানা কারণে বিব্রত হতে হয়। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় এটি মূলত যৌন কাজে অক্ষমতাকেই বুঝায়। বর্তমানে এগুলোর চিকিৎসা সম্ভব। শ্রেণি বিভাগ : প্রধানত তিন প্রকার। যথা : (১) ইরেকশন ফেইলিউর (২) পেনিট্রেশন ফেইলিউর (৩) প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন।

কারণসমূ হ : বিশেষ কারণগুলো হলো- বয়সের পার্থক্য, পার্টনার অপছন্দ : যেমন- দেহসৌষ্ঠব, মুখশ্রী ও ত্বক, দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, যৌনবাহিত রোগ- যেমন- সিফিলিস ও গনোরিয়া, রক্তে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, উপযুক্ত এডুকেশনের অভাব।

উপসংহার : দেখা যায়- উঠতি বয়সের যুবকরা হাতুড়ে ডাক্তারের খপ্পরে পড়ে বা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশনের অথবা ভুয়া ওষুধ সেবন করে। এটি মোটেই কাম্য নয়। কারণ, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত জীবন নিয়ে টানাটানি হয়। তাই যে কোনো বয়সেই এ সমস্যা দেখা দিলে অভিজ্ঞ যৌনরোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। বর্তমানে আধুনিক বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার মাধ্যম ছাড়াই রোগটি সমূলে নির্মূল করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ত্যাগ করতে হবে তথাকথিত অপচিকিৎসার।

ডা. একেএম মাহমুদুল হক খায়ের

সিনিয়র কনসালটেন্ট, শমরিতা হাসপাতাল, পান্থপথ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর