মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনলাইনে যা এড়ানো প্রয়োজন

অনলাইনে যা এড়ানো প্রয়োজন

ইন্টারনেট সম্পর্কিত আইনগুলো প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে যে আইনগুলো রয়েছে সেগুলো জানা কঠিনই বটে। গান ডাউনলোড করা থেকে শুরু করে টরেন্ট বা ওই জাতীয় কোনো সাইট থেকে লেটেস্ট হিন্দি বা বাংলা সিনেমা ডাউনলোড, সবই কিন্তু বেআইনি। তবু আমরা করে চলেছি এসব, আইনের চোখে ধুলো দিয়ে।  যেসব কাজ ইন্টারনেটে করা একেবারেই আইন বিরুদ্ধ তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হবে এবার। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় বলে রাখা দরকার যে সব সময়ই যে আমরা জেনে বুঝেই এই ভুলগুলো করে থাকি এমন নয়। তাই কিছু কিছু বিষয় অনলাইনে এড়িয়ে চলা উচিত অর্থাৎ যেগুলো করণীয় নয়। এছাড়া এসব কাজ অনেকটাই বেআইনি। এ বিষয়ে রইল বেশকিছু পরামর্শ—

সিনেমা এবং গান ডাউনলোড : আগেও বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন সাইট থেকে গান বা সিনেমা ডাউনলোড করা কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনি। সেই কারণেই তো অনেক দেশ ইতিমধ্যেই টরেন্ট সাইটটি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তবু যেন থামতে চাইছে না এই নিষিদ্ধ কাজ। তাই অতিরিক্ত সচেতন হওয়াটা জরুরি। 

গাড়ি চালানোর সময় মেসেজ করবেন না : এটা যে খারাপ অভ্যাস, সেটা আমাদের সবারই জানা। তবু যেন ছাড়তে ইচ্ছা করে না। একথা আমরা ভুলে যাই যে কোনো পরিবহন, তা গাড়ি হোক কী বাইক বা সাইকেল, চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে বা টেক্সট করলে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা থাকে। 

বিজ্ঞাপনকে আটকে দেওয়া : ইন্টারনেটে ঝড় তোলা বেশিরভাগ সাইটই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পয়সা উপার্জন করে থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়।

সাইটে বিক্রি করে তা আয়ের অংশ হিসেবে না দেখানো : আজকাল অনেক সাইটেই পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করা যায়। আর এ কাজ আমরা অনেকেই করে থাকি। কিন্তু কজন এসব বিক্রি থেকে উপার্জিত অর্থ নিজের আয়ের অংশ হিসেবে দেখান? হিসাব করলে সংখ্যাটা যে খুব বেশি হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অনেকেরই এ বিষয়টা মাথায় থাকে না যে এই অল্প পরিমাণ আয়ও দেখানো জরুরি। তাই এভাবে নিজের আয়ের অংশ হিসেবে এমন উপার্জনকে না দেখানো ঠিক নয়। 

নকল আই পি অ্যাড্রেস ব্যবহার : নিজেকে মুখোশের আড়ালে রেখে দিতে অনেকেই নকল পরিচয়, এমনকি নকল আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার বেআইনি কাজ করার জন্যও এমনটা করে থাকেন। যারা এমন করে তাদের জানিয়ে রাখি, এ ধরনের কাজ কিন্তু বেআইনি।

লাইক-স্ট্যাটাস নিয়ে কিছু কথা : লাইক-কমেন্ট-শেয়ার-স্ট্যাটাস! এই শব্দগুলো শোনার পর মুহূর্তের মধ্যেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটিই নাম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বর্তমানে ফেসবুকের প্রতি আকৃষ্ট নেই এমন মানুষের দেখা মেলা ভার। প্রযুক্তির যুগে সবাই কম-বেশি এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সঙ্গে জড়িত। গবেষণায় উঠে এসেছে, অধিকমাত্রায় ফেসবুক ব্যবহার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। যারা স্বাস্থ্যজনিত কারণে ভুগছেন, তারা অনেক ক্ষেত্রে ফেসবুকের শরণাপন্ন হন। আর তাতে আরও হিতেবিপরীত হচ্ছে। তাই লাইক পাওয়া ও ঘনঘন স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য ফেসবুকে সময় কাটানো উচিত। সূত্র : ইন্টারনেট।

সর্বশেষ খবর