বাতিল ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির দাবি করল ভারতের উড়িষ্যার এক ছাত্র। তার দাবির সত্যতা যাচাই করতে ইতিমধ্যে উড়িষ্যার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৭ বছরের ওই ছাত্রের নাম লাসমান দুন্দি। উড়িষ্যার নুয়াপদা গ্রামের বাসিন্দা দুন্দি খারিয়ার কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে লাসমান। বাল্ব বিক্রি করে পড়াশোনার খরচ চালায় সে। দেশটির নোট বাতিলের পর দুটো পুরনো ৫০০ টাকার নোট তার কাছে রয়ে গিয়েছিল। সেই নোটের উপরেই এ পরীক্ষা চালায় সে। দুন্দির দাবি, ‘এর জন্য একটি ট্রান্সফরমার, একটা বাল্ব এবং বেশ কিছুটা তার লাগবে। পুরনো ৫০০ টাকার নোটের মধ্যে সিলিকন প্লেট ছিল। ওই প্লেটই বিদ্যুৎ তৈরিতে সাহায্য করে। প্রথমে ৫০০ টাকার নোটকে একটু ছিঁড়ে সিলিকন প্লেটটাকে উন্মুক্ত করতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের এক প্রান্ত ওই সিলিকন প্লেটে এবং অপর প্রান্ত ট্রান্সফরমারে লাগাতে হবে। ট্রান্সফরমারের সঙ্গে তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে বাল্ব। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ সূর্যালোকে রাখতে হবে নোটটিকে। দেখতে হবে নোটের সিলিকন প্লেটের উপরে যেন সূর্যের আলো পড়ে। সিলিকন প্লেট এবং ট্রান্সফরমারের সাহায্যে ওই আলোকশক্তি বিদ্যুত্শক্তিতে পরিণত হবে। জ্বলে উঠবে বাল্ব।’ এভাবে একটি ৫০০ টাকার নোট থেকে ৫ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে দাবি দুন্দির। এমনকি উৎপন্ন বিদ্যুৎ ধরে রাখা সম্ভব হলে তা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজে লাগানো যেতে পারে।