শিরোনাম
১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:২৯

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে নিউইয়র্ক পুলিশের বিক্ষোভ

নিউইয়র্ক থেকে এনআরবি নিউজ :


বেতন বৃদ্ধির দাবিতে নিউইয়র্ক পুলিশের বিক্ষোভ

মাত্র ১% বেতন বৃদ্ধির পরিকল্পনাকে প্রহসন হিসেবে অভিহিত করে অবিলম্বে বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেতন কাঠামো ঢেলে সাজানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের সহস্রাধিক সদস্য। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিউইয়র্ক সিটির হাজার হাজার পুলিশ অফিসার রাজপথে শ্লোগান দিলেন বেতন বৃদ্ধি করার জন্যে। গত বুধবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় সিটি মেয়রের সরকারি বাসভবনের সামনে। 

এর আগে ৫ নভেম্বর ম্যানহাটানে ইয়র্ক এভিনিউ এবং ৬৩ স্ট্রিটে বিলাসবহুল একটি ভবনের সামনে  হাজারো পুলিশ অফিসার বিক্ষোভ করেছেন গগণবিদারি শ্লোগানে। এ বাসভবনে অবস্থান করেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কন্ট্রাক্ট আরবিট্রেটর হাওয়ার্ড ইডেলম্যান। ২০১০ সালে এই আরবিট্রেটর তার প্রস্তাবে প্রতি বছর ১% বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করলেও এখন পর্যন্ত তার কার্যকারিতা দেখেননি পেট্রলম্যান বেনিভোলেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের (পিবিএ) সদস্যরা। 

উল্লেখ্য, এই এসোসিয়েশনের সদস্যদের চাকরি শুরু হয় বার্ষিক ৪৪ হাজার ৭৪৪ ডলার বেতনে। ৫ বছরে তা উঠে গড়ে ৭৬ হাজার ৬০২ ডলারে। যদিও ডিটেকটিভ এনডোওম্যান এসোসিয়েশনের সদস্যগণের চাকরি শুরু হয় বার্ষিক ৮৭৬৫৯ ডলার বেতনে। এই সেকশনের ডিটেকটিভরা বছরে ১% বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছেন ২০১২ সাল থেকে। অপরদিকে, ক্যাপ্টেন এনডোওম্যান এসোসিয়েশনের সদস্যদের চাকরি শুরু হয় বার্ষিক দেড় লাখ ডলার বেতনে। এরাও বার্ষিক ১% হারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছেন ২০১৩ সালের মার্চ থেকে। সার্জেন্ট বেনিভোলেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্যরা চাকরি শুরু করেন ১০২৯০৬ ডলার বেতনে। ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট থেকে বার্ষিক ১% হারে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা তারা পাচ্ছেন। কিন্তু পিবিএ সদস্যরা চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। যদিও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে প্রতিদিনের কাজ শুরু করতে হয় এবং দুর্বৃত্তের হাতে হতাহতদের সিংহভাগই হচ্ছেন পিবিএ’র সদস্য। 

বিক্ষোভ সমাবেশে গগণবিদারি শ্লোগানের মধ্যে পিবিএ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক লিঞ্চ বলেছেন, ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টের কর্মচারীদের বেতন ৭৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব উঠেছে স্টেট পার্লামেন্টে। অপরদিকে, পুলিশের বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উঠলেই তা আর্বিট্রেটরের কাছে পাঠানো হয়। এ অবস্থা আমরা চাই না। আমরা সরাসরি সিটি মেয়র ও রাজ্য শাসনের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ চাই। কুইন্সের পুলিশ অফিসার মাইকেল হ্যান্স ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ৫ বছর আগে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা কার্যকর হলে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে মাত্র ৩৬ সেন্ট করে বাড়বে। এভাবে সংসার চালানো যায় না। আমাদের অনেকেই সিটিতে বাস করার সামর্থ্য হারিয়ে আশপাশের পিছিয়ে পড়া এলাকায় বসতি গড়তে বাধ্য হচ্ছি। এ সময় আরও অভিযোগ করা হয় যে, আমরা এখন চাকরি করছি কোন ধরনের কন্ট্রাক্ট ছাড়াই। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর