১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:৪১

ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ সমস্যা নেই: মানিক সরকার

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ সমস্যা নেই: মানিক সরকার

বিরোধীদের তোলা অনুপ্রবেশ ইস্যুর বিষয়টি খারিজ করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জানিয়ে দিলেন এরাজ্যে কোন অনুপ্রবেশ সমস্যা নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগরতলায় একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানিক সরকার এই মন্তব্য করেন। তাঁর অভিযোগ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ ইস্যুটিকে খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে। কোনো উপযুক্ত প্রমাণপত্র ছাড়াই কেবলমাত্র প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার জন্যই এই গোষ্ঠীটি বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যে অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে দাবি করছে।

গত মাসেই আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া অভিযোগ করেন বাংলাদেশ থেকেই ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা অনুপ্রবেশকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে দেশের বিদেশি নাগরিক আইনে সংশোধন আনারও দাবি জানান তিনি।

প্রবীণ তোগাড়িয়ার ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন মানিক সরকার জানান, ‘সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় অখন্ডতা নষ্ট করার একটা চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘তোগাড়িয়া একজন বড় মাপের নেতা হতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যে অনুপ্রবেশ ঘটছে এই মন্তব্য তিনি করতে পারেন না এবং ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী মুসলিমদের ডিএনএ পরীক্ষার যে দাবি তুলেছে তাও করতে পারনে না। তার (তোগাড়িয়া) এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের মধ্যে একটা অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে ত্রিপুরার মানুষ এই জিনিসটা হতে দেবেন না’।   

মানিক সরকারের দাবি জনজরিপের রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট যে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে, এমন কোন উদাহরণ কিংবা নথি আমাদের কাছে নেই। ত্রিপুরায় কোন বিদেশী নাগরিকের অবৈধ ভাবে বসবাসের কোন সুযোগই নেই কারণ রাজ্য প্রশাসন এব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক আছে।

ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উভয় রাষ্ট্রের তরফে নেওয়া একাধিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতার মধ্যে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগরতলার সাথে আখাউড়ার সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন হয়ে গেলে এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। দুই দেশের মধ্যে মানুষে মানুষে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও সাংস্কৃকি সম্পর্কই প্রমাণ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোথায় অবস্থান করছে। 


বিডি-প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর