৩০ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:০৮

এসিড হামলা রুখতে বাংলাদেশকে অনুকরণের পরামর্শ দিল্লি কমিশনের

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

এসিড হামলা রুখতে বাংলাদেশকে অনুকরণের পরামর্শ দিল্লি কমিশনের

এসিড হামলা রুখতে প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে অনুকরণ করার জন্য দিল্লি রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে দিল্লি নারী কমিশন (ডিসিডব্লিউ)। এ ধরনের হামলা রুখতে বাংলাদেশে যেভাবে লাইসেন্সবিহীন উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় এবং এসিডের ব্যবহারকে অজামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ঠিক একইভাবে দিল্লিতেও এ অপরাধ ঠেকাতে বাংলাদেশ মডেল চালু করার প্রস্তাব দিল ডিসিডব্লিউ। কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এই মর্মে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়াকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি রাজধানীতে এসিড বিক্রির ওপর নজরদারি চালাতে একটি পরামর্শ কমিটিও গঠনের আর্জি জানান মালিওয়াল।

চিঠিতে এসিড হামলা রুখতে বাংলাদেশ যে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রশংসা করে মালিওয়াল বলেন, 'এসিড সম্পর্কিত যে কোনো অপরাধমূলক ঘটনা কমাতে বাংলাদেশ তাদের আইন কঠোর করার ফলে অপরাধের মাত্রা ২০ শতাংশ কমেছে। দিল্লি সরকারও প্রতিবেশি রাষ্ট্রের এই নিয়ম অনুকরণ করতে পারে। বাংলাদেশ এসিড কন্ট্রোল অ্যাক্ট-২০০২' অনুযায়ী লাইসেন্সবিহীন উৎপাদন, আমদানি, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় এবং এসিডের ব্যবহার সম্পূর্ণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। নিয়ম ভঙ্গকারীদের ৩ থেকে ১০ বছর কারাবাসেরও বিধান আছে'। নিয়ম ভঙ্গকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত জরিমানার অর্থ এসিড হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন মালিওয়াল।

চিঠিতে মালিওয়াল আরও জানান, 'ভারতে নারীদের ওপর এসিড হামলার প্রধান কারণই হল অনিয়ন্ত্রিত এসিড বিক্রয়।  দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেডর্ক বু্যরো (এনসিআরবি) ২০১৪'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দিল্লিতে ২০টি এসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশের পর দিল্লি হলো তৃতীয় রাজ্য যেখানে সবচেয়ে বেশি এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বিডি-প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর