মাত্র কয়েকদিন আগেই ১৫ টাকা মেটাতে না পারার অপরাধে ভারতের উত্তরপ্রদেশের দলিত দম্পতিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়৷ তার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক দলিত নারীর উপর আক্রমণ নেমে আসল বিহারে৷ ডাইনি সন্দেহে বিহারের দ্বারভাঙায় এক নারীকে উলঙ্গ করে গ্রামে ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ শুধু তাই নয়, নারীর অভিযোগ ওই চার ব্যক্তি তাকে জোর করে নিজের মূত্র খেতেও বাধ্য করে৷
এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বিহারে৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে আক্রমণ করে ১১ জন গ্রামবাসী৷ স্থানীয় এক যুবক গত কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান৷ আর গ্রামবাসী সেই মৃত্যুর কারণ হিসাবে দলিত নারীকে দায়ী করে। তাদের মতে ওই নারীর 'ডাইনি বিদ্যা' আছে। সেই কারণেই যুবকের মৃত্যু।
ওই নারীর দাবি, দমু যাদব, সন্তোষ যাদব, বাচ্চেলাল যাদব-সহ চার ব্যক্তি অন্যান্য গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে৷ তাকে উলঙ্গ করে গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করা হয়৷ শুধু তাই নয়, নিজের মূত্র পর্যন্ত খেতে বাধ্য করা হয় তাকে৷বিহারের এই ঘটনা ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার তথ্যটিকে আরও জোরালো করে তুললো৷ বিভিন্ন মহলে এই ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেত্রী শোভা ওঝা বলেছেন, ''এমন ঘটনা মনে প্রশ্ন আনে আমরা আদৌ একবিংশ শতাব্দীতে বাস করি কিনা৷'' সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ
