ফ্রান্সের কিছু শহরে মুসলিম নারীদের বুরকিনি পোশাক পরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল-তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে দেশটির সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত। একটি মানবাধিকার সংগঠনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দেয়। তাদের অভিযোগ ছিল ওই নিষেধাজ্ঞায় মুসলিম নারীদের পোশাক নির্বাচনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সের সমুদ্রতীরবর্তী প্রায় ৩০টি শহরে সমুদ্র সৈকতে বুরকিনি পরা নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করেছিল। তার মধ্যে মাত্র একটি শহরের ব্যাপারে এই মামলায় শুনানি হয়।
কিন্তু আদালতের রায়ের অর্থ হচ্ছে, ফ্রান্সের যেসব শহরে বুরকিনি নিষিদ্ধ করা হয়েছে - তার সবগুলোই এই আদেশের আওতায় পড়বে এবং নিষেধাজ্ঞা সম্ভবত বাতিল হয়ে যাবে।
এ বছর জুলাইয়ের ১৪ তারিখ নিস শহরে ট্রাক নিয়ে যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল - তারপর ভিলেন্যুভ-ল্যুবেত শহরের মেয়র মুসলিম মহিলাদের বুরকিনি পরা নিষিদ্ধ করে এক আদেশ জারি করেছিলেন। বলা হয়েছিল, জনশৃঙ্খলার প্রতি হুমকির কথা বিবেচনা করেই এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
কিন্তু স্টেট কাউন্সিল নামের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত তার আদেশে বলেছে, জনশৃঙ্খলার প্রতি "সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি" সৃষ্টি না হলে এভাবে জনগণের স্বাধীনতা খর্ব করার ক্ষমতা কোন পৌর কর্তৃপক্ষের নেই। তাছাড়া সমুদ্রসৈকতে বুরকিনি পরাকে এ ধরণের হুমকি বলে বিবেচনা করা চলে না। তবে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে আরও কিছু দিন লাগবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বিকিনির পরিবর্তে ব্যবহৃত এক ধরনের সাঁতারের পোশাকের নাম বুরকিনি। এই পোশাকে মুখ, হাত ও পায়ের পাতা ব্যতীত সম্পূর্ণ দেহ আবৃত থাকে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব
