ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনতার উদ্দেশ্যে যেসব বার্তা দেন তা ভালো লাগে কিশোরী সাক্ষী তিওয়ারির। মুম্বাইয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীর সাক্ষী ঠিক করলো নিজের ‘মন কি বাত’ জানাবে প্রধানমন্ত্রীকে। চিঠিতে নিজের আর্জি লিখে পাঠিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি যে তার উত্তরও মিলবে, তা যেন ভাবতেই পারেনি এই কিশোরী। সাক্ষীর ইচ্ছেপূরণ করেছেন মোদি।
সাক্ষী খেলাধুলো করতে ভালোবাসে। সাক্ষী মালিক, পি ভি সিন্ধুর মতো ওলিম্পিকের মঞ্চ থেকে দেশের জন্য পদক এনে দেওয়ার ইচ্ছা সাক্ষীর। সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যেই পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছে সে। কিন্তু তার স্কুলে খেলার কোনো খেলার মাঠ নেই। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাক্ষী একটি খেলার মাঠ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। সাক্ষী জানায়, “খুব তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে চিঠির উত্তর পেয়েছি।” সাক্ষীর স্কুলের কাছের মাঠটি এবার থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করতে পারবে। মোদি চিঠির উত্তরে সাড়া দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত সাক্ষী।
সদ্য সমাপ্ত রিও ওলিম্পিকে ১১৯ জন প্রতিযোগী পাঠিয়ে পদক এসেছে মাত্র দু’টি। তাই টোকিও অলিম্পিকে সাফল্য পেতে এখন থেকেই উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার। অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সবরকমভাবে উদ্বুদ্ধ করতে তৎপর মোদি সরকার। সাক্ষী মালিকের মতো বাকি সাক্ষীদের স্বপ্নের উড়ানেও ভাটা পড়তে দিতে চান না প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ