২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:২৮

পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধে মারা যাবে ২০০ কোটি মানুষ!

অনলাইন ডেস্ক

পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধে মারা যাবে ২০০ কোটি মানুষ!

উরি হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান বিরোধ এখন চরমে। সেই হামলায় নিহত হন ১৮ ভারতীয় সেনা। এর পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশংকা করা হচ্ছে পরিস্থিতির রাশ টেনে না ধরলে ভারত-পাকিস্তান উভয়েই পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে পারমাণবিক যুদ্ধ বেধে গেলে তা ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বব্যাপী, ঘটবে ব্যাপক প্রাণহানি। তিন বছর আগে করা এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ভারত-পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধ হলে তা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। অন্তত ২০০ কোটি মানুষ নিহত হবে। পৃথিবীজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মানবসভ্যতা। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমিত পর্যায়ে পারমাণবিক যুদ্ধ হলেও বিশ্বের আবহাওয়ামণ্ডলের ব্যাপক ক্ষতি ও শস্যক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।

নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ানস ফর দ্য প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়্যার এবং ফিজিশিয়ানস ফর সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি নামে দুটি সংগঠন ২০১৩ সালে এই গবেষণামূলক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিলে গবেষণাটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশ পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ১শ' কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। পরের বছর গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দু'দেশের সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধে চীনের ওপরে প্রভাবের বিষয়টি বাদ রেখেই তারা ২শ' কোটি মানুষের মৃত্যুর আশংকা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পরমাণু যুদ্ধের ফলে আবহাওয়ামণ্ডলে যে কার্বন অ্যারোসল কণা ছড়াবে, তাতে সুদূর আমেরিকাতেও কমপক্ষে এক দশক সময় ধরে কৃষি উৎপাদন প্রায় ১০ শতাংশ কমে যাবে। এ কণার প্রভাবে চীনে প্রথম চার বছরে গড়ে ২১ শতাংশ ও পরের ছয় বছর আরও ১০ শতাংশ ধান, গমের উৎপাদন কমে যাবে।

 


সূত্র: এবেলা


বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর